সিরাজগঞ্জে ত্রাণ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাল বিতরণ নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন ইউপি সদস্যরা।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2020, 04:54 PM
Updated : 22 April 2020, 04:54 PM

বুধবার সয়দাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নবীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন তারা।

ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান ও ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজ মন্ডল জানান, করোনাভাইরাসের কারণে সয়দাবাদ ইউনিয়নে এ পর্যন্ত সরকারি ১৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

“এসব খয়রাতি চালের বিরতণের বিষয়ে চেয়ারম্যান কোনো কমিটি গঠন বা মেম্বারদের সাথে কোনো সমন্বয় করেননি। তিনি এককভাবে কোথায় কী পরিমাণ চাল বিতরণ করছেন সে বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।”

তিনি জানান, ৯নং ওয়ার্ডের জন্য ১০ কেজি চালের ১৯০টি, ২নং ওয়ার্ডে ৫০টি, ৩নং ওয়ার্ডে ৭০টি, ৪নং ওয়ার্ডে ২৫০টি, ৫নং ওয়ার্ডে ৩০টি, ৬নং ওয়ার্ডে ৩০টি, ৭নং ওয়ার্ডে ৫০টি, ৮নং ওয়ার্ডে ৪০টি এবং চেয়ারম্যানের নামে ৩০০টি স্লিপ বরাদ্দ রয়েছে।

“কিন্তু ১নং ওয়ার্ডের জন্য কোনো প্রকার বরাদ্দ রাখা হয়নি।”

এ বিষয়ে ১নং ওয়ার্ডের সদস্য হাজী সেলিম জানান, এ ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার ২শ।

“সাড়ে ৮শ’ দরিদ্র লোকের তালিকা করে পরিষদে জমা দিয়েছি। আজ পর্যন্ত এক ছটাক চালও কাউকে দিতে পারিনি।

“ত্রাণের জন্য কেউ পরিষদে গেলে চেয়ারম্যান তাদের আমার কাছে পাঠিয়ে দেন। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করেও কোনো লাভ হচ্ছে না।”

১নং ওয়ার্ড ভুক্ত বাঐতারা গ্রামের বাসিন্দা সদর উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, “আগামী নির্বাচনে আমি চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে চেয়েছি। তাই বর্তমান চেয়ারম্যান নবীদুল ১নং ওয়ার্ডের মোহনপুর, বাঐতারা ও পূর্ববাঐতারা গ্রামে কোনো ত্রাণ দিচ্ছেন না। এতে করে দরিদ্র মানুষরা নানা দুর্ভোগে দিনাতিপাত করছে।”    

ইউপির ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য ইতি রাণী ঘোষ বলেন, “আমিসহ বাকি দুই সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্যদের নামে কোনো সরকারি খয়রাতি চাল বরাদ্দ করা হয়নি।”

এ বিষয়ে ইউপি সচিব আসলাম উদ্দিন জানান, সরকারি বরাদ্দর চাল বিতরণের হিসাব তার জানা নেই। সব কিছু জানেন চেয়ারম্যান।

এসব অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান নবীদুল ইসলাম জানান, ইউপি সদস্যের কাছ  থেকে নামের তালিকা নেওয়া হয়েছে। ইউনিয়ন থেকে ‘তাদের বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।’

“কিন্তু তাদের সাথে নিয়ে ত্রাণ বিতরণ করতে হবে এমন কোনো নিয়ম নেই।”

তবে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরকার অসীম কুমার জানান, চেয়ারম্যানের দায়িত্ব হল সব সদস্যদের সাথে সমন্বয় করে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করা।

“ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম কিছু হয়ে থাকলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”