কুড়িগ্রামে কোয়ারেন্টিন শেষ না হতেই ৬২ জনকে পাঠানো হল বাড়ি

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থেকে আসা ৬২ জন ইটভাটা শ্রমিককে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষ না হতেই নিজ নিজ বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2020, 02:17 PM
Updated : 22 April 2020, 02:17 PM

নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুর আহম্মেদ মাছুমের নির্দেশে বুধবার বিকালে তাদের বাড়ি পাঠানো হয় বলে জানান কচাকাটা থানার ওসি মামুন অর রশীদ জানান।

তিনি বলেন, গত ১৪ এপ্রিল ভোরে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থেকে ট্রাকে করে আসার সময় ওই ৬২ জন ইটভাটা শ্রমিককে কুড়িগ্রাম ধরলা বিজ্রে আটক করে পুলিশ। তাদের মধ্যে তিনজন নারী ও দুই শিশু ছিল। পরে নাগেশ্বরী উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে ওই শ্রমিকদের কচাকাটা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।

কেদার ইউনিয়নের চেয়াম্যান মাহাবুবুর রহমান এবং কচাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল তাদের খাবার সরবরাহসহ দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা জনান।

প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন শেষ না করে শ্রমিকদের ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে কচাকাটার চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল বলেন, “কোয়ারেন্টিনে থাকা লোকজনের অধিকাংশরা আগেই পালিয়ে যায়। তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে যে কয়েকজন ছিল তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”

তবে এ বিষয়ে ওসি মামুন অর রশীদের ভাষ্য, “কেউ পালিয়ে যায়নি। ইউএনও স্যারের নির্দেশে সবাইকে একসঙ্গে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”

এ বিষয়ে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, “ওই ইটভাটা শ্রমিকদের শরীরে কোভিড-১৯ রোগের উপসর্গ না থাকায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউএনওর নির্দেশে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”

কোয়ারেন্টিনে ১৪ দিনে থাকার নিয়ম থাকলেও আটদিনের ছেড়ে দেওয়ার এ বিষয়ে নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর আহম্মেদ মাছুম বলেন, “ওই শ্রমিকরা ১১দিন কোয়ারেন্টিনে ছিল। কিন্তু তাদের মধ্যে করোনাভাইরাসের কোনো উপসর্গ না থাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তারা আটদিন ছিল কি-না, আমি খোঁজ নিয়ে জানাচ্ছি।”

এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, “যারা বাইরে থেকে আসবে তাদের কমপক্ষে ১৪দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। কচাকাটায় সীমাবদ্ধতার কারণে ওই শ্রমিকদের  আটদিন পর ছেড়ে দেওয়ার কথা জেনেছি। তাদের বাকি সাতদিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।”