বুধবার নীলফামারীর সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্টরা এ তথ্য দিয়ে জানান, তার কারণে কোয়ারেন্টিনে যাওয়া চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা ১৪ দিন শেষে ফিরে আসায় ফের কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খুলে দেওয়া হয়েছে।
নীলফামারীর সিভিল সার্জন ডা. রনজিৎ কুমার বর্মন জানান, ৭ এপ্রিল জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওই চিকিৎসক করোনাভাইরাস আক্রান্ত হিসেবে জেলায় প্রথম শনাক্ত হন।
“ওই চিকিৎসক ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সুস্থ্ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।”
তিনি শনাক্ত হওয়ায় চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়ে হাসপাতালে ৭ এপ্রিল লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু শফি মাহমুদ জানান, এই চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ১০০ জনের টানা ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষ হয় মঙ্গলবার।
“বুধবার সকাল থেকে কিশোরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাভাবিক চিকিৎসা সেবা প্রদান শুরু করেন চিকিৎসকরা।
বুধবার সকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স খুলে দেওয়ার পর বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগের সেবা, স্থায়ী টিকাদান কার্যক্রম ফের শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।
নীলফামারীর সিভিল সার্জন ডা. রনজিৎ কুমার বর্মন জানান, ৭ এপ্রিল জেলার ওই চিকিৎসক আক্রান্ত হওয়ার পর জেলায় ৯ এপ্রিল সৈয়দপুর উপজেলার এক যুবক, ১১ এপ্রিল ডিমলা উপজেলার একজন এসএসসি পরীক্ষার্থী, ১৩ এপ্রিল জলঢাকা উপজেলার এক কলেজ ছাত্র, ১৪ এপ্রিল ডিমলার এক কলেজ ছাত্র এবং সদরের টুপামারীর এক ১৫ বছর বয়সী ইটভাটা শ্রমিক, ১৭ এপ্রিল সদরের দুইজন ও ডিমলার এক কিশোরী এবং ২১ এপ্রিল সদরের আরো এক যুবক করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হন।