মঙ্গলবার রাতে জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন দুই দফায় রওনা হওয়া এ কৃষিমজুরদের সবাই এরই মধ্যে কুমিল্লায় পৌঁছে গেছেন।
জলঢাকা উপজেলার ৮৪ জন, ডিমলা উপজেলার ১২জন মোট ৯৬ জন বিকাল ৩টায় ৯৬ এবং উপজেলার ১৪ জন মজুর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পৌঁছান বলে জানান তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম আতিকুর রহমান জানান, পর্যায়ক্রমে কুমিল্লা ও সুনামগঞ্জসহ হাওরাঞ্চলে আরও মজুর পাঠানো হবে।
জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রওনার আগে মজুরদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। সংক্রমণ রোধে মজুরদের স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক নির্দেশনা দিয়ে প্রত্যেককে দু’টি করে উন্নতমানের মার্স্ক দেওয়া হয়েছে।
খুটামারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ চৌধুরী শামীম বলেন, “থানা পুলিশের সহযোগিতায় এ অঞ্চলের কর্মহীন মজুরদের দক্ষিণাঞ্চলে বোরো ধান কাটার কাজে পাঠানো হচ্ছে। যারা যেতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন তাদেরই পাঠানো হচ্ছে।’’
নীলফামারী জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, “আসন্ন ঝড়-বৃষ্টি, বন্যাসহ যেকোন দুর্যোগে কৃষকদের ক্ষেতের ধান নষ্ট হতে পারে। এমন আশঙ্কায় হাওরাঞ্চলের পাকা বোরো ধান কাটা জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কৃষি মজুর পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।”