ধান কাটতে নীলফামারীর শ্রমিক কুমিল্লায় পৌঁছেছে

নীলফামারী থেকে সরকারি তত্ত্বাবধানে ১১০ জন কৃষিমজুর ধান কাটতে গিয়েছেন কুমিল্লায়।

নীলফামারী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 April 2020, 06:39 PM
Updated : 22 April 2020, 03:20 AM

মঙ্গলবার রাতে জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন দুই দফায় রওনা হওয়া এ কৃষিমজুরদের সবাই এরই মধ্যে কুমিল্লায় পৌঁছে গেছেন।

জলঢাকা উপজেলার ৮৪ জন, ডিমলা উপজেলার ১২জন মোট ৯৬ জন বিকাল ৩টায় ৯৬ এবং উপজেলার ১৪ জন মজুর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় পৌঁছান বলে জানান তিনি।

জেলা পুলিশের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বাস করে তারা মঙ্গলবার ভোর ও আগের সন্ধ্যায় নীলফামারী ছিলেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম আতিকুর রহমান জানান, পর্যায়ক্রমে কুমিল্লা ও সুনামগঞ্জসহ হাওরাঞ্চলে আরও মজুর পাঠানো হবে।

জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রওনার আগে মজুরদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। সংক্রমণ রোধে মজুরদের স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক নির্দেশনা দিয়ে প্রত্যেককে দু’টি করে উন্নতমানের মার্স্ক দেওয়া হয়েছে।

জলঢাকা উপজেলার খুটামারা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য বেলাল হোসেন বলেন, “সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে টেঙ্গনমারী বাজার থেকে ৮৪ জন মজুরকে নিয়ে দু’টিবাস কুমিল্লার উদ্যেশ্যে ছেড়ে যায়। জলঢাকা থানা পুলিশের সহযোগিতায় খুটামারা, কচুকাটা, মীরগঞ্জ ইউনিয়ন থেকে এসব আগ্রহী মজুরকে সংগ্রহ করা হয়।”

খুটামারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ চৌধুরী শামীম বলেন, “থানা পুলিশের সহযোগিতায় এ অঞ্চলের কর্মহীন মজুরদের দক্ষিণাঞ্চলে বোরো ধান কাটার কাজে পাঠানো হচ্ছে। যারা যেতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন তাদেরই পাঠানো হচ্ছে।’’

নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবিএম আতিকুর রহমান বলেন, “সোমবার সন্ধ্যায় ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার ৯৬জন এবং মঙ্গলবার ভোরে সৈয়দপুর উপজেলার ১৪ জনকে কুমিল্লা জেলায় পাঠানো হয়েছে।”

নীলফামারী জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, “আসন্ন ঝড়-বৃষ্টি, বন্যাসহ যেকোন দুর্যোগে কৃষকদের ক্ষেতের ধান নষ্ট হতে পারে। এমন আশঙ্কায় হাওরাঞ্চলের পাকা বোরো ধান কাটা জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কৃষি মজুর পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।”