কোভিড-১৯: হটলাইনে ৪৩৩ বার ফোন ‘মজা করে’

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কথা বলে সরকারের তিনটি হটলাইন ও আইইডিসিআরের নম্বরে ৪৩৩ বার ফোন করেছে এক ছাত্র, যেটাকে ‘মজা’ বলেছে বারো বছর বয়সী ওই শিশু।

নাটোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 April 2020, 05:44 PM
Updated : 21 April 2020, 05:44 PM

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সহায়তায় নিয়োজিত লোকজনকে হয়রান ও বিভ্রান্ত করার অভিযোগে পুলিশ ওই শিশুকে আটক করেছে।

সোমবার রাতে নাটোর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়নের মাধববাড়িয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।

নাটোর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত সাংবাদিকদের জানান, ১২ বছর বয়সী এই ছেলেটি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। তার বাবা কৃষক। মা ও বাবার বিচ্ছেদ হওয়ার পর তারা পৃথক সংসার গড়েছেন। ছেলেটা বাবার সঙ্গে থাকে।

“বর্তমানে ছেলেটা সুস্থ আছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে মজা করার জন্য সে হটলাইনে ফোন করেছে। গ্রেপ্তার এড়াতে সে ভুলভাল ঠিকানা দিয়েছে।”

আবুল হাসনাত বলেন, গত ৬ এপ্রিল থেকে এই ছেলে সরকারের ৩৩৩ নম্বরে ৩১৬ বার, ৯৯৯-এ ২৩ বার, ১০৯-এ ৩১ বার ও আইইডিসিআরের ৬৩ বার ফোন করেছে।

“প্রতিবারই সে নিজেকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী বলে পরিচয় দেয়। চিকিৎসক মোবাইল ফোনে তার সঙ্গে কথা বললেও সে তার শরীরে করোনার সব উপসর্গ আছে বলে জানায়।”

হাসনাত বলেন, বিষয়টি নাটোরের পুলিশ সুপার ও স্বাস্থ্য বিভাগকে জানানো হলে তাকে উদ্ধারের জন্য তার বর্ণিত ঠিকানায় যান লোকজন। কিন্তু বর্ণিত ঠিকানায় তাকে কখনও পাওয়া যায়নি। এভাবে বহুবার সে পুলিশকে বিভ্রান্ত করেছে।

“এক পর্যায়ে নাটোরের এক সংসদ সদস্যও তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তখন সে তার বাড়ি নাটোর শহরের আলাইপুর বলে জানায়। সেখানে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।”

হাসনাত জানান, পরে পুলিশ মোবাইল ট্র্যাক বরে তার অবস্থান জেনে সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়নের মাধববাড়িয়া গ্রামে পৌঁছে।

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানান, ছেলেটি কিশোর হওয়ায় তাকে আদালতের মাধ্যমে সংশোধনাগারে পাঠানো হবে। ছেলেটি পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্মীদের বার বার মিথ্যা তথ্য দিয়ে অমানসিক পরিশ্রম করিয়েছে।

তিনি বলেন, তার কথায় পুলিশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল। কারণ সত্যি সত্যি সে আক্রান্ত হলে তার মাধ্যমে আরও মানুষ আক্রান্ত হতে পারত।