কামরুজ্জামানকে বরখাস্ত করে মঙ্গলবার আদেশ জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
সেখানে বলা হয়েছে, “করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতি মোকাবেলায় কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত ত্রাণ সামগ্রী প্যাকেটিং ও বিতরণে অনিয়ম, কারচুপি ও আত্মসাতের অভিযোগে কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী মডেল থানায় কামরুজ্জামানের নামে মামলা রুজু হয়েছে এবং তিনি পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার হয়েছেন।”
গত ১৮ এপ্রিল এক চিঠিতে কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ এসব তথ্য স্থানীয় সরকার বিভাগকে অবহিত করেছে উল্লেখ করে আদেশে বলা হয়েছে, “তার এ সকল কার্যকলাপ জেলা পরিষদ আইন, ২০০০ [জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৬ দ্বারা সংশোধিত] এর ১০(১)(ঙ) ধারা অনুযায়ী অপরাধের শামিল। তার অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় আইন অনুযায়ী তাকে অপসারণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
“… তার দ্বারা জেলা পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ জনস্বার্থের পরিপন্থি বিবেচনায় জেলা পরিষদ আইন, ২০০০ [জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১৬ দ্বারা সংশোধিত] এর ১০ ক ধারা অনুযায়ী কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. কামরুজ্জামানকে জনস্বার্থে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হল।”
ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের জন্য এর আগে ইউনিয়ন পরিষদের আটজন চেয়ারম্যান এবং ১৬ জন সদস্যসহ মোট ২৪ জন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে সরকার।