করোনাভাইরাস: যমুনার দুর্গম চরে ফেলে যাওয়া বৃদ্ধকে উদ্ধার

`করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায়’ পাবনায় যমুনা নদীর নির্জন এক চরে ফেলে যাওয়া প্রবীণকে উদ্ধার করেছে প্রশাসন।

সৈকত আফরোজ আসাদ পাবনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2020, 08:07 PM
Updated : 20 April 2020, 08:07 PM

সোমবার বিকালে তাকে বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়নের চরসাফুল্যা গ্রামের দুর্গম চর থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে এক দল চিকিৎসক।

তাকে (৬৫) বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে ভর্তি করেছেন তারা।

এ বিষয়ে ইউএনও আসিফ আনাম সিদ্দিকী বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে আইসোলেশনে এনে ভর্তি করেছি। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”

তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ওই বৃদ্ধ কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তার পরিচয় বের করতে পারিনি।

“তবে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, কোনো নৌকা থেকে কেউ যমুনা নদীর ওই নির্জন চরে রেখে রেখে গেছে তাকে।”

এলাকাবাসী ও উপজেলা প্রশাসন জানায়, গত শনিবার বিকালে দুর্গম যমুনা নদীর চর চরসাফুল্যা গ্রামে ওই প্রবীণকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ হওয়ায় তিনি চরবাসীকে তার পরিচয় দিতে পারেন নাই। তিনি কীভাবে ওই চরে এলেন তাও বলতে পারেননি।

“রোববার ওই বৃদ্ধ হাঁটতে হাঁটতে গ্রামের এক বাড়ির কাছে গিয়ে নেতিয়ে পড়েন। স্থানীয় লোকজন ও ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে খবর পেয়ে ইউএনও এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেন।

“রোববার বিকালে ওই গ্রামে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কয়েকজন মাঠকর্মী গিয়ে ওই বৃদ্ধকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।”

স্থানীয় কয়েকজনের অভিযোগ-রোববার হাসপাতাল থেকে যেসব ডাক্তার গিয়েছিলেন তারা প্রবীণের কাছে না ভিড়ে দূর থেকে ওষুধ দিয়ে চলে যান। তবে এই অভিযোগ নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

এ খবর পেয়ে সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আনাম সিদ্দিকী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সরদার মিলন মাহমুদসহ একটি চিকিৎসা দল সেখানে যান।  বিকালে তারা বৃদ্ধকে উদ্ধার করে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ইউনিটে এনে ভর্তি করেন।