বজ্রপাতে তিন জেলায় পল্লীবিদ্যুত কর্মকর্তাসহ ৬ জনের মৃত্যু

তিন জেলায় বজ্রপাতে পল্লী বিদ্যুতের দুই কর্মকর্তাসহ ছয় জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2020, 05:51 PM
Updated : 20 April 2020, 05:53 PM

সোমবার সকাল থেকে বিভিন্ন সময়ের বজ্রপাতে এ মৃত্যুর খবর শরীয়তপুর, কিশোরগঞ্জ ও  লক্ষ্মীপুর জেলা থেকে এসেছে।

প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর

শরীয়তপুরে পল্লী বিদ্যুতের দুই কর্মকর্তার মৃত্যু

শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় ডামুড্যা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল কার্যালয়ে এজিএম মো. সাইফুল ইসলাম খান ও সহকারী জুনিয়র প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান নামের দুই ব্যক্তি বজ্রপাতে মারা গেছেন।

সোমবার দুপুরে ডামুড্যা উপজেলার পূর্ব ডামুড্যা ইউনিয়নের জয়ালু গ্রামে কাজ শেষে ফেরার পথে বজ্রপাতে ওই দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয় বলে ডামুড্যা থানার ওসি মেহেদী হাসান জানান।

নিহত এজিএম সাইফুল ইসলামের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায় এবং সহকারী প্রকৌশলী মুস্তাফিজুর রহমানের বাড়ি যশোর জেলার ঝিকরগাছা এলাকায় বলে সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে।

ডামুড্যা থানার ওসি মেহেদী হাসান জানান, বজ্রপাতে গুরুতর আহত ওই দুই কর্মকর্তাকে ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। 

ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোস্তাফা খোকন জানান, পল্লীবিদ্যুতের ওই দুই কর্মকর্তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। তারা বজ্রপাতে মারা গেছেন।

“দুই জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে।”

পুলিশের মাধ্যমে মৃতদেহ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।

শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ব্যবস্থাপক জুলফিকার রহমান জানান, ওই এলাকায় বিদ্যুতের লাইনে সমস্যা ছিল। সেই কাজ তদারকি করতে ওই দুই কর্মকর্তা গিয়ে ছিলেন। কাজ শেষে তারা অফিসে ফেরার পথে আবহাওয়া খারাপ থাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনে আশ্রয় নেন। সেখানেই ওই দুই কর্মকর্তা বজ্রপাতে শিকার হয়েছেন।

কিশোরগঞ্জের দুইজন নিহত

কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা মিঠামইন ও নিকলীতে বজ্রপাতে দুইজন নিহত হয়েছে।

মিঠামইন থানার ওসি জাকির রব্বানী জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার গোপদিঘী ইউনিয়নের বজকপুর গ্রামের ইয়াসিন মিয়া (২৮) নামে এক কৃষক হাওর থেকে ধান কেটে গড়াভাঙ্গা নদীতে নৌকায় বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

নিহত ইয়াসিন মিয়া বজকপুর গ্রামের মাহবুবুর রহমানের ছেলে।

অপর ঘটনায় নিকলী উপজেলার সিংপুর ইউনিয়নের নয়াখাল হাওরের মাঠে সকাল ৭টার দিকে ছাগলের পাল রেখে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান বলে জানিয়েছে নিকলী থানার ওসি শামসুল আলম সিদ্দীকি।

নিহত আসাদুল্লাহ আশু (১৮) উপজেলার সিংপুর ইউনিয়নের গড়গড়িয়া হাটি গ্রামের কিনু মিয়ার ছেলে।

লক্ষ্মীপুরে বজ্র্রপাতে পৃথকস্থানে দুই কৃষকের মৃত্যু

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর ও কমলনগর উপজেলায় বজ্রপাতে মারা গেছেন দুই কৃষক।

সোমবার বিকালে বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সময় পৃথকস্থানে মারা যায় এ দুই কৃষক।

এরা হলেন রায়পুর চর কাচিয়া এলাকায় ৬০ বছর বয়সী শাহাজাহান সর্দার ও কমলনগরের চর কাদিরা এলাকায় কামাল হোসেন। শাহাজান চর কাচিয়া এলাকার পাঞ্চাত আলী সর্দারের ছেলে ও  কামাল ওই এলাকার আব্দুল অদুদের ছেলে।

স্থানীয় চেয়ারম্যান আবু জাফর মো. সালেহ জানিয়েছেন উল্লেখ করে রায়পুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরীন চৌধুরী জানান, তার ইউনিয়নের চর কাচিয়া এলাকায় দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

এছাড়া কমলনগর থানার ওসি মুহাম্মদ নুরুল আবছার জানান, কমলনগরে বজ্রপাতে কৃষক মারা যাওয়ার কথা ।

নিহত কামাল হোসেন কমলনগর চর কাদিরিয়ার বাসিন্দা।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিনকে উদ্ধৃত করে তিনি জানান, কামাল বিকেল ৪টার দিকে ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে বাড়ির পাশের বিল থেকে গরু আনতে যান। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই গরুসহ তার মারা যান তিনি।