সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন এলাকার বুড়িগোয়ালিনীতে সাকিব আল হাসানের মালিকানাধীন ‘সাকিব অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড’ নামের কাঁকড়ার হ্যাচারির শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ করে।
শ্রমিকদের অভিযোগ-তাদের চার মাসের মজুরি পাওয়া রয়েছে।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল বলেন, “তিন-চার মাস ধরে বেতন না পেয়ে সোমবার সাকিব এগ্রো ফার্মের শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা হ্যাচারির সামনে জড়ো হয়ে পাওনা বেতনের দাবিতে সোচ্চার হয়।
“ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় র্যাব ক্যাম্পের হস্তক্ষেপে শ্রমিকরা ফেরত গেলেও ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সব পাওনা পরিশোধের জন্য আল্টিমেটাম দিয়ে যায় তারা।”
শ্রমিকরা সেখানে আধা ঘণ্টার মতো অবস্থান করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
“সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে আন্দোলন করায় র্যাবের একটি টহল দল শ্রমিকদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়।”
সাকিব আল হাসানের হ্যাচারির শ্রমিক মহিদুল ইসলাম জানান, গত চার মাস ধরে তাদের কোনো বেতন দেওয়া হয় না।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এই পরিস্থিতে তাদের কঠিন অবস্থার মধ্যে দিন কাটচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “বাড়িতে খাবার নাই।”
নারী শ্রমিক মনোয়ারা বলেন, “অসহায় হয়েই সাকিবের কাঁকড়া ফার্মে কাজ করি কিন্তু গত চার মাস ধরে বেতন বন্ধ।
করোনাভাইরাস রোধে দেশ অবরুদ্ধের মধ্যে তাদের ঘরে খাবার না থাকায়-‘না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে তার ছেলে-মেয়েরা’ বলে জানান তিনি।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম বলেন, “কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ফার্ম কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভরত শ্রমিকদের আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বেতন পরিশোধ করবেন বলে জানিয়েছে।”
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “সাকিব এগ্রো ফার্মের শ্রমিকরা পাওনা বেতনের জন্য কাঁকড়া হ্যাচারির সামনে সমবেত হয়েছিল।
“কর্তৃপক্ষ আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় নেওয়ায় তারা ঘরেও ফিরে গেছে। সেখানে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।”
তবে, সাকিব আল হাসানের এই কাঁকড়া ফার্ম প্রজেক্টের তত্ত্বাবধায়ক সগীর হোসেন পাভেলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি তার ফোন ধরেননি।