সোমবার দুপুরে এএসআই মো. আলমগীর হোসেনকে মডেল থাকা থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্তির পর সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী।
এ ঘটনা ‘তদন্তে কমিটিও করা হয়েছে।’
গত রোববার সকালে ফেনী শহরের চাঁড়িপুরে এএসআই আলমগীর থানায় নিয়ে যাওয়ার ভয় দেখিয়ে এক প্রবীণের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নেওয়ার খবর পুলিশ সুপার পান। এরপর সে রাতেই টাকা ফেরত দেয় অভিযুক্ত আলমগীর।
ওই প্রবীণের ভাতিজা আব্দুল কাইয়ুম ফাহাদ জানান, রোববার সকালে শহরের চাঁড়িপুরের মাজারিয়া মসজিদ সংলগ্ন স্থানে আহাদ মিয়া দুইজন শ্রমিক দিয়ে বাড়িতে পরিচ্ছন্নতার কাজ করাচ্ছিলেন। এ সময় টহলরত এএসআই আলমগীর তাকে ডেকে শ্রমিক দিয়ে কাজ করানোয় করানোভাইরাসের বিষয়ে শাসান।
এক পর্যায়ে তাকে থানায় নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে আহাদ মিয়া তাৎক্ষণিকভাবে ২০ হাজার টাকা দিয়ে ক্ষমা চেয়ে মুক্তি পান বলে তার অভিযোগ।
ঘটনাটি আহাদ মিয়ার তার ভাতিজা আব্দুল কাইয়ুম ফাহাদকে জানানোর পর সন্ধ্যায় ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবীকে তা অবহিত করেন তিনি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ফেনী মডেল থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন জানান, রাতেই আহাদ মিয়াকে থানায় ডেকে আনা হয়। পরে ওসির নির্দেশে এএসআই আলমগীর হোসেন বৃদ্ধের কাছে ক্ষমা চেয়ে ১০ হাজার টাকা ফেরত দেন।
ফেনীর পুলিশ সুপার পদমর্যদায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কাজী মনিরুজ্জামান জানান, জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে এএসআই আলমগীরকে ইতোমধ্যে ‘সাসপেন্ড’ করা হয়েছে। একই সাথে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।