রোববার রাতে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা ৪৫ বছর বয়সী এই ব্যক্তির মৃত্যু হয় বলে উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার জানান।
এই ব্যক্তি উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোড়াই রঘুরায় মাস্টারপাড়া (কানিপাড়া) গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতেন। তাদের বাড়িও একই ইউনিয়নের পাঁচপীর এলাকায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান জানান, এই ব্যক্তি তিন মাস ধরে টাঙ্গাইলে এক প্রবাসীর বাড়িতে কৃষিকাজ করছিলেন। ওই প্রবাসী মারা যাওয়ার পর এক সপ্তাহ আগে টাঙ্গাইল থেকে তিনি তার শ্বশুরবাড়িতে আসেন। এরপর থেকে জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলাব্যথায় ভুগছিলেন।
“এলাকায় আসার পর স্থানীয়রা তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখেন। কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় রোববার রাতে তার মৃত্যু হয়।”
মৃত ব্যক্তির প্রতিবেশী পাঁচপীর হাইস্কুলের শিক্ষক আমিরুল ইসলাম জানান, রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার স্ত্রী খাবার দিতে গিয়ে দেখেন নিথর হয়ে পড়ে আছেন। রাতেই পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন পরিবারের তিনজনের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়।
তিনি জানান, সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশের লোকজন দাফনের ব্যবস্থা করেন। এ সময় এলাকাবাসীর কেউ সেখানে উপস্থিত ছিল না।
উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার জানান, সপ্তাহখানেক আগে তিনি টাঙ্গাইল থেকে বাড়িতে আসেন। জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে রোববার রাতে তিনি মারা যান।
“আমরা মৃতেরসহ তার স্ত্রী ও ১২ বছরের কন্যার নমুনা সংগ্রহ করেছি।”
উলিপুর থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ম অনুযায়ী দাফন করেছেন। এ সময় স্থানীয়রা কেউ অংশ নেয়নি।