রোববার রাতে পাওয়া পরীক্ষা প্রতিবেদনে ওই ব্যক্তির কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে বলে জানিয়েছেন নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক হরগোবিন্দ সরকার অনুপ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, উপজেলার চুড়াইন ইউনিয়নের এই ব্যক্তি সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ থেকে বাড়ি ফিরেছেন। ফেরার পর তার কোভিড-১৯ রোগের বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়।
“খবর পেয়ে আমরা তার বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠাই। রোববার রাতে পরীক্ষার প্রতিবেদন আসে। এতে তার কোভিড-১৯ পজিটিভ এসেছে।”
ওই ব্যক্তিকে তার নিজের বাড়িতে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আর তার স্বজনসহ আশপাশের পরিবারগুলোর সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার একই ইউনিয়নে গাজীপুর ও ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে আসা ৩৮ ও ৫৮ বছর বয়সী আরও দুই ব্যক্তির কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে। সোমবার পর্যন্ত এ উপজেলায় মোট ছয়জনের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া অত্যন্ত ছোঁয়াচে কোভিড-১৯ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পরস্পর থেকে দূরে থাকাই এখন পর্যন্ত সেরা উপায় বলে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন।
অন্য অনেক দেশের মত বাংলাদেশ সরকারও প্রায় সবকিছু বন্ধ করে সবাইকে ঘরে থাকতে বলেছে। অনেক জেলা থেকে বের হওয়া এবং ঢোকা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু সবাই ঘরে থাকতে চাইছে না। তাদের ঘরে ফেরাতে প্রতিদিনই দেশের প্রায় সব জেলায় জরিমানা করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবু বহু লোক চলাফেরা অব্যাহত রাখায় রোগটি ছড়িয়ে পড়ছে।