কোভিড-১৯: বাইরে আসায় রোদে বসে থাকার শাস্তি

নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যে দেশে অবরুদ্ধ অবস্থায় কারণ ছাড়া বাড়ি থেকে বের হওয়ায় ব্যতিক্রমী শাস্তি পেয়েছেন বগুড়ার কয়েকজন।

জিয়া শাহীন বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 April 2020, 10:14 AM
Updated : 19 April 2020, 10:20 AM

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের রোদের মধ্যে বসিয়ে রাখে; পরে শহরে না আসার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ছেড়ে দেয়।

রোববার বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় চেকপোস্ট বসিয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব এই ব্যবস্থা নেয়।

দেশে নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর এর বিস্তার ঠেকাতে দেশজুড়ে যে অবরুদ্ধ অবস্থা তৈরি করে যে কোনো জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এর কোনো টিকা কিংবা ওষুধ না থাকায় সংক্রমণ এড়াতে মানুষের চলাফেরা, যোগাযোগ যতটা সম্ভব কমাতে হবে। এ বিষয়ে ব্যাপক প্রচারের পরও কোনো কোনো ক্ষেত্রে মানুষকে অযথা চলাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সকালে বগুড়া শহরের সাতমাথায় চেকপোস্ট বসিয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা মোটরসাইকেল, কারসহ পায়েচলা লোকদের বাইরে আসার কারণ জিজ্ঞেস করেন।

দেখা যায়, যানবাহনের উপযুক্ত কাগজ ও শহরে আসার গ্রহণযোগ্য কারণ না বলতে পারায় যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা এবং পায়েচলা যুবকদের আধঘণ্টা রোদে বসে থাকার শাস্তি দেওয়া হয়। পরে কারণ ছাড়া শহরে না আসার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

সুত্রাপুরের জাহাঙ্গীর বলেন, তিনি বিদ্যুৎ বিল দিতে এসেছেন; কিন্তু তার কাছে উপযুক্ত কোন কাগজ নেই। তাই তাকে বসিয়ে রাখা হয়।

বনানী থেকে আসা যুবক মামুন বলেন, তিনি ওষুধ নিতে এসেছেন। বনানীসহ আশেপাশে ঠনঠনিয়া, মফিজ পাগলার মোড়ে ওষুধের বড় দোকান থাকলেও সাতমাথায় আসায় তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

এভাবে অনান্য যুবকরা অজুহাত দেখালেও তা আইনশৃ্খলা বাহিনীর কাছে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় রোদে বসে থাকার সাজা পেতে হয়।

সাতমাথায় অবস্থানরত বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আছলাম আলী বলেন, “কোনোভাবেই নির্দেশনা মানতে চাচ্ছে না মানুষ। করোনাভাইরাস থেকে জেলাকে সুরক্ষার জন্যই প্রাথমিকভাবে আমরা এই শাস্তির ব্যবস্থা রেখেছি। ধীরে ধীরে আরও কঠোর হব আমরা; এছাড়া কোনো উপায় নেই।”