নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত ওই নোটিশের জবাব আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার আবু তাহের নোটিশ পাওয়ার কথা স্বীকার করে যথাসময়ে জবাব দেবেন বলে জানিয়েছেন।
হাসপাতালে পিপিইসহ যাবতীয় সুরক্ষাসামগ্রী পর্যাপ্ত থাকা ও সরবরাহ করার পরও তার মন্তব্য সরাকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার পরিপন্থি বলে কারণ দর্শানো নোটিশে বলা হয়।
স্ট্যাটাসে আবু তাহের তার নিজেকে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের অ্যানেসথেসিওলজিস্ট উল্লেখ করে রোগীর সবচেয়ে কাছ থেকে চিকিৎসা দেন বলে দাবি করেন। গত এক মাসে তিনি প্রতিদিন হাসপাতালে গিয়েছেন বলে লেখেন।
কিন্তু এখনও পর্যন্ত তিনি বা তার সহকার্মীরা মাস্ক পাননি বলে দাবি তাহেরের।
“এখন পর্যন্ত আমিসহ আমার ডিপার্টমেন্টের কেউ একটিও এন৯৫/কেএন৯৫/এফএফপি-২ মাস্ক পাইনি।”
তাই এই বিষয়ে স্বাস্থ্য সচিব ‘এন৯৫ ইকোয়েভেলেন্ট মাস্ক দিচ্ছেন’ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যা বলেছেন বলে তাহেরের দাবি।
তিন মাসেও কোনো প্রস্তুতি হয়নি বলেও তাহের মনে করেন। ‘কিছু লুটেরার দল’ প্রধানমন্ত্রীর কাছে এরকম অনেক মিথ্যা প্রস্তুতির নাটক সাজিয়েছে হাজার কোটি টাকা লোপাট করছেন বলেও অভিযোগ তোলেন তাহের।
এ বিয়ষে আবু তাহের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি যা বলেছেন তা শতভাগ সত্য। যদি কোনো কিছু মিথ্যা প্রমাণ হয় তাহলে তিনি যেকোনো ধরনের শাস্তি মেনে নিতে প্রস্তুত আছেন।
আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে এবং এ সময়ের মধ্যেই জবাব দেবেন বলে জানান।