গোপালগঞ্জে প্রত্যন্ত গ্রামে হাট বসছে সামাজিক দূরত্ব মেনে

গোপালগঞ্জে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে কোনো কোনো প্রত্যন্ত গ্রামের হাটেও এখন সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা হচ্ছে।

মনোজ সাহা গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 April 2020, 05:27 AM
Updated : 18 April 2020, 06:03 AM

কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ি ইউনিয়নের কালিগঞ্জ হাটে গিয়ে দেখা গেছে, প্রশাসনের লোকজন ও স্বেচ্ছাসেবীদের প্রচারে সাড়া দিচ্ছে মানুষ। দোকানিরা সামজিক দূরত্ব মেনে দোকান বসাচ্ছেন। আর ক্রেতারাও পরস্পর থেকে দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করছেন।

কোটালীপাড়া উপজেলার তাড়াশি গ্রামের জ্ঞানের আলো পাঠাগার, কোটালীপাড়া উপজেলা প্রশাসন ও কলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ বিভিন্ন এলাকায় প্রচারকাজে অংশ নিচ্ছে।

কালিগঞ্জ হাটে আসা বাঙ্গি বিক্রেতা রণজিৎ মধু বলেন, “আমরা সচেতন হয়েছি। বিক্রেতারা সমাজিক দূরত্ব মেনে হাটে জিনিসপত্র নিয়ে বসছে। দূরে দাঁড়িয়ে ক্রেতারা কেনাকাটা করছেন।

“সুস্থ থাকার জন্য আমি ও আমার পরিবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছি। আমাদের হাটে এ ব্যাপারে নিয়মিত প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে জ্ঞানের আলো পাঠাগার, ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন।”

ওই পাঠাগারের পক্ষ থেকে মাস্ক, সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, “তারা হাত ধোয়ার নিয়ম-কানুন তারা গ্রামে গ্রামে গিয়ে শেখাচ্ছে। এতে আমরা করোনাভাইরাস থেকে রক্ষার উপায় জানতে পারছি।”

কলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাইকেল ওঝা এজন্য জ্ঞানের আলো পাঠাগার, উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়েছে।

তিনি বলেন, “এখানে সমাজিক দূরত্ব মেনে হাট বসছে। ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছেন।”

এছাড়া ৫০০ পরিবারকে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জ্ঞানের আলো পাঠাগারের সভাপতি সুশান্ত মণ্ডল।

কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজুর রহমান বলেন, “করোনভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার বিকল্প নেই।

“অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রেখে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছি। এর সুফলও পাচ্ছি।”

তাদের কাজে জ্ঞানের আলো পাঠাগারসহ স্বেচ্ছাসেবকরা সহযোগিতা করছেন বলে তিনি জানান।