সোনাইমুড়ি থানার ওসি আব্দুস সামাদ জানান, শিমুলিয়া গ্রামের ওই বাড়ি থেকে গত মঙ্গলবার আসমা আক্তার নামের এই চিকিৎসক চলে আসেন।
“এরপর তিনদিন উপজেলা সদরে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে অবস্থান করেন তিনি; শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ খবর জেনে পুলিশ তাকে ফের ওই বাড়িতে উঠিয়ে দেয়।”
আসমা আক্তার সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত আছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তিনি শিমুলিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ভাড়া বাসায় ছোট বোনের পরিবারের সঙ্গে থাকেন বেশ কিছুদিন ধরে। তার স্বামীর বাড়ি কুমিল্লায়।
“গত মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কাজ থেকে ফেরার সময় বাড়ির মালিক মোহাম্মদ আলী তাকে অপমানজনক কথা বলেন এব ওই বাসায় যেতে নিষেধ করেন। বাড়ির মালিকের ধারণা আমার বাইরে যাওয়া-আসার কারণে তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন।”
আসমা বলেন, এদিকে যানবাহন বন্ধ থাকায় কুমিল্লা থেকেও আসা-যাওয়ার সুযোগ নেই; তাই সেখান থেকে চলে আসার পর নিরুপায় হয়ে গত তিনদিন সোনাইমুড়িতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে থেকেছেন।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি আবদুস সামাদ বলেন, বিষয়টি তিনি পুলিশকে না জানানোয় তারা খবর পাননি।
“আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবরটি প্রচার হলে এসপি স্যারের নজরে আসে; তখনই তিনি আমাকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেন। তারপরই আমি ওই চিকিৎসককে খুঁজে বের করে ওই বাড়িতে দিয়ে আসি।”
ওসি আরও বলেন, বাড়িওয়ালাকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলার পর তিনি ভুল বুঝতে পেরেছেন।
“এছাড়া এই চিকিৎসকের ভবিষ্যতে তার কোনো অফিসে আসা-যাওয়ায় কোনো সমস্যা হলে আমাদের জানাতে বলেছি; প্রয়োজনে আমরা তাকে অফিসে পৌঁছে দেব।”
বাড়ির মালিক মোহাম্মদ আলী সাংবাদিকদের বলেন, “তিনি যে হাসপাতালের চিকিৎসক তা আমার জানা ছিল না। জানলে এমন কথা বলতাম না।”