চট্টগ্রামের গার্মেন্টসকর্মীর মৃত্যু রাঙামাটিতে, পরীক্ষায় নমুনা

রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলায় এক পাহাড়ি যুবকের মৃত্যু হয়েছে, যিনি চট্টগ্রামে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।

রাঙামাটি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 April 2020, 12:30 PM
Updated : 17 April 2020, 12:30 PM

শুক্রবার সকালে বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের নিজ বাড়িতে ২১ বছরের এই মারমা যুবকের মৃত্যু হয়; তার জ্বর বা শারীরিক কোনো সমস্যা ছিল না বলে পরিবারের সদস্যরা জানান।

তবে তার নমুনা পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।

এই নিয়ে জেলায় তিনজনের মৃত্যু হলো। এর আগে দুজনের মধ্যে একজনের নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়নি। আরেকজনের পরীক্ষার ফল এখনও আসেনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রুইহ্লা অং মারমা বলেন, “আমরা সম্পূর্ণ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়ে তার নমুনা সংগ্রহ করেছি এবং যথাযথ নিয়ম মেনে তার দাফনের ব্যবস্থা করছি। তার আদৌ কী হয়েছিল, রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছু নিশ্চিত নয়।”

মৃত যুবকের বাবা সাংবাদিকদের বলেন, তার ছেলে চট্টগ্রামে একটি গার্মেন্টস কারখানায় কাজ করতেন। বারো দিন আগে তিনি বাঙ্গালহালিয়ায় বাড়িতে আসেন। স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করছিলেন।

কয়েকদিন ধরে এলাকায় বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ক্রিকেটও খেলেছেন বলে তিনি জানান।

“বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে ঘুমাতে যায়। সকালে আকস্মিকভাবে মৃত্য হয় তার। আমার ছেলে শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল।”

তবে ওই যুবকের বন্ধু অপু সাংবাদিকদের বলেন, “তাকে দেখে অসুস্থ মনে হয়েছিল। তাই আমি কয়েকদিন আগে তাকে আপাতত বাসায় থাকতে বলেছিলাম।”

তার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ ছাদেক, রাজস্থলী থানার ওসি মফজল আহাম্মদ খান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রুইহ্লা অং মারমা, ইউপি চেয়ারম্যান ঞোমং মারমা তার বাড়িতে যান।  পরিবার ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন তারা।

বাঙ্গালহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ঞোমং মারমা বলেন, “আকস্মিকভাবে ছেলেটির মৃত্যু হয়েছে, আমরা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত নই সে কীভাবে মারা গেল। তাই স্বাস্থ্য বিভাগ তার নমুনা সংগ্রহ করেছে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না। তার দাহক্রিয়া সরকারিভাবে করা হচ্ছে।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ ছাদেক বলেন, আপাতত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তার কী হয়েছে বলা যাচ্ছে না। তবুও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তার প্রতিবেশী সাতটি ঘর ও ১০টি দোকানের লোকজনদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, এর আগে গত রোববার রাঙামাটি সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে ৫৫ বছর বয়সী একজন মারা যান, পরে তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এছাড়া শুক্রবার সকালে বাঘাইছড়ি উপজেলায় আইসোলেশনে থাকা ১৮ বছর বয়সী এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে; তার রিপোর্ট পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।