বৃহস্পতিবার কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ অনুপম বড়ুয়া।
৬৫ বছর বয়সী আক্রান্ত ব্যক্তি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা কোনারপাড়ার বাসিন্দা।
অনুপম বড়ুয়া বলেন, বৃহস্পতিবার মোট ৪১ জনের নুমনা পরীক্ষা করা হয়। তার মধ্যে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির এক ব্যক্তি কোভিড-১৯ পজেটিভ ধরা পড়ে। বাকি সবার রিপোর্ট নেগেটিভ।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবুজাফর মো. ছলিম জানান, কয়েক দফায় উপজেলার ৫৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।
“এরমধ্যে বৃহস্পতিবার ঘুমধুম এলাকার এক ব্যক্তির করোনাভাইরাস সংক্রমণ পাওয়া যায়।”
আক্রান্ত ব্যক্তি ঢাকা-নারায়নগঞ্জে তাবলিগ থেকে ‘গত ৬ এপ্রিল বাড়িতে ফেরেন।’
তিনি বলেন, “ফেরার পর তাকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল। এখন নমুনা পরীক্ষায় কোভিড-১৯ পজেটিভ আসছে।”
উপেজলা করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এবং ইউএনও সাদিয়া আফরিন কচি জানান, আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবার ও এর আশপাশের পরিবারগুলো বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
এরআগে পাশের জেলা কক্সবাজারে সৌদি ফেরত করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হওয়ার পর কক্সবাজারের সাথে সংযোগ সড়ক থাকায় গত ২৪ মার্চ থেকে অনির্র্দিষ্টকালের জন্য নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় লকডাউন চলছে বলে জানান তিনি।
বান্দরবানে তিন উপজেলা লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকার ব্যক্তিদের নমুনা পাশের জেলা কক্সবাজারে পরীক্ষা করা হয়।
এছাড়া বান্দরবান সদর, রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি উপজেলা করোনাভাইরাসের উপসর্গ পাওয়া ব্যক্তিদের চট্টগ্রামে ফৌজদারহাটে ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডেজিজেস (বিআইটিআইডি) এর নমুনা পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।