খবর পেয়ে পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসনের লোকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। মঙ্গলবার ভোরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
জেলার সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমাউল হুসনা লিজা জানান, ওই নারীর জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও গলা ব্যথা রয়েছে। সোমবার রাতে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করেন তার পরিবারের লোকজন। তাকে তার স্বামী-সন্তানরা সখীপুরের ইছাদিঘি এলাকায় একটি জঙ্গলে নিয়ে যান। তারা তাকে সেখানে রেখে পালিয়ে যান।
পরে এলাকাবাসী ওই নারীর চেঁচামেচি শুনে এগিয়ে যায়।
গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল মান্না মিঞা জানান, জঙ্গলে অপরিচিত নারীর চেঁচামেচি শুনে স্থানীয়রা বিষয়টি তাদের জানান। পরে জনপ্রতিনিধিরা ইউএনও এবং ওসিকে খবর দেন।
রাত ১টার দিকে পুলিশ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকসহ চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন।
চেয়ারম্যান ওই নারীর বরাতে বলেন, তার বাড়ি শেরপুর জেলার নালিতাবাড়িতে। তার স্বামী-সন্তান গাজীপুরের শালনায় পোশাক কারখানায় কাজ করেন। স্বামী-সন্তানরা তাকে রাতের প্রথমার্ধের কোনো এক সময় জঙ্গলে ফেলে যান।
তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় রাত ২টার দিকে তাকে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয় বলে জানান সখীপুর থানার ওসি মো. আমির হোসেন।
সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুস সোবাহান বলেন, ওই নারীর জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও গলাব্যথা রয়েছে। করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় রাতেই তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় পাঠানো হয়। মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে তাকে কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে ভর্তি না করায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তাকে মেডিকেলের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান আবদুস সোবাহান।