আক্রান্ত ওই ব্যক্তি উপজেলার বকসনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
ডা. অনুপ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই ব্যক্তি চিল্লায় গিয়ে ৪০ দিন সফরে থাকার পর এ মাসের ১০ তারিখে বাড়ি ফিরেছেন। তার শরীরে করোনাভাইরাসের বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিলে আমরা সংবাদ পেয়ে গত শনিবার তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষর জন্য আইডিসিআরে পাঠাই।
“সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় ফলাফলে পেয়ে আমরা তার শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি।”
আইডিসিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী তাকে চিকিৎসার জন্য রাজধানীর উত্তরার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী বা কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেওয়া হবে।
আক্রান্তের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এলাকাটি পর্যবেক্ষণ করা হবে। আক্রান্তের পরিবারের স্বজনদেরসহ আশেপাশের কয়েকটি পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে অবশ্যই নির্দেশনা দেওয়া হবে। এছাড়াও এলাকাটি অবরুদ্ধ করা হবে কিনা সে বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান তিনি।
“এর আগে আমরা গত বৃহস্পতিবার রাতে চিল্লা থেকে ফেরা উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের তাশুল্যা গ্রামের ৬৫ বয়সী একব্যক্তি সংক্রমিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। আইডিসিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী তাকে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”
তার অবস্থা আগের চেয়ে অনেকটা ভালো জানিয়ে ডা. অনুপ বলেন, ৩১শে মার্চ নবাবগঞ্জ উপজেলায় বাহ্রা ইউনিয়নে ৪৭ বছর বয়সী এক সোদী আরব প্রবাসী প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে আইডিসিআরের একটি টিম এসে অ্যাম্বুলেন্সে করে সেদিনই তাকে চিকিৎসার জন্য সেদিনই বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে টানা ১২ দিন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হবার পর গতকাল রোববার দুপুরে তিনি বাড়িতে ফিরেছেন।
পুনরায় সংক্রমণের শঙ্কায় তাকে আইডিসিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী আরো ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন।