সোমবার রাত রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ১৪ দিনের জন্য এ লকডাউন করা হয়। এ সময় বেসরকারি হাসপাতালটি খালি করে জীবাণুমুক্ত করতে এবং সব চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে রাখতে বলা হয়েছে।
সুধারাম মডেল থানার ওসি নবীর হোসেন জানান, রাতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে হাসপাতালাটি খালি করা হয়।
সোমবার রাত ১০টার দিকে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোমিনুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রাইম হসপিটাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ আদেশের কথা জানানো হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৫ এপ্রিল প্রাইম হসপিটালের ৫০৪নং রুমে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার ইতালি প্রবাসীকে ভর্তির পর চিকিৎসা দেওয়া। পরবর্তীতে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয় কিন্তু রোগীর করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের জন্য সিভিল সার্জন অফিসকে বিষয়টি অবহিত করা হয়নি।
পরবর্তীকালে রোগীটি ঢাকায় মারা যায় এবং ঢাকায় তার করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। তাই জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা এবং ভর্তিকৃত রোগীদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিষ্ঠানটিকে ১৩ এপ্রিল রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ১৪ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয় বলে জানানো হয়েছে।
সুধারাম মডেল থানা পুলিশকে এ চিঠির অনুলিপি দিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়।