সোমবার রাকেফ অ্যাপারেলস ওয়াশিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, দি ওয়ার্ল্ড ওয়ান ডেনিম লিমিটেড ও গ্লোরিয়াস ফ্যাশন লিমিটেডের শ্রমিকরা বিক্ষোভে নামেন।
এর মধ্যে দুটি কারখানার শ্রমিকরা কারখানা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শিল্প পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে সরকারের ছুটির কারণে পোশাক কারখানাও বন্ধ রয়েছে। কিন্তু কারখানা বন্ধ রাখলেও কোনো কোনো মালিকপক্ষ শ্রমিকদের বেতন-ভাতা না দিয়েই বন্ধ রেখেছে প্রতিষ্ঠান। এ নিয়ে রোববারও সাভার ও গাজীপুরের কয়েকটি কারখানায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। পরে বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবিতে ঘরে ফেরেন শ্রমিকরা।
কিন্তু বকেয়া বেতন পরিশোধে কর্তৃপক্ষের কোনো সাড়া না পেয়ে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন বলে তারা জানান।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন বলেন, রাকেফ অ্যাপারেলসের কারখানায় প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কাজ করেন। অনেক শ্রমিক আছেন যারা দুই মাসের বেতনও পায়নি। তাদের ঘরে খাবার নেই।
“আবার অধিকাংশ শ্রমিক এই এলাকার ভোটার না হওয়ায় তাদের ভাগ্যে জোটেনি ত্রাণ তহবিলের কোনো খাদ্যসামগ্রী। শ্রমিকদের বেতন না দিলে করোনাভাইরাস তো দূরের কথা না খেয়েই মারা যেতে হবে অনেক শ্রমিককে।”
“বকেয়া বেতন-ভাতা না পেয়ে কারখানাটির দেড় শতাধিক শ্রমিক মূল ফটকের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখায়।”
তিনি বলেন, এছাড়া মধ্য গাজিরচট এলাকায় অবস্থিত ‘গ্লোরিয়াস ফ্যাশন লিমিটেড’ কারখানার শতাধিক শ্রমিক বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে কারখানার মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেছে। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ খবর পেয়ে দুপুরের পর ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ১৮ তারিখ বেতন-ভাতা পরিশোধের আশ্বাস দিলেও ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা তা না মেনে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন।
শ্রমিক সংগঠনটির এই নেতা আরও বলেন, “এই দুই কারখানার শ্রমিকরা আজ (সোমবার) শিল্প পুলিশের কাছে মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।”
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর এসপি সানা সামিনুর রহমান বলেন, শ্রমিক বিক্ষোভের খবর পেয়ে পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।