‘ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে শত শত লোক আসছে’ শরীয়তপুরে

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে শরীয়তপুরে শত শত লোক আসছে জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা।

কে এম রায়হান কবীর শরীয়তপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 April 2020, 09:06 AM
Updated : 13 April 2020, 09:55 AM

এছাড়া কয়েকটি হাটে-বাজারে দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়। পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। অসহায়ত্বও প্রকাশ করেছেন প্রশাসনের লোকজন।

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, “প্রতিদিন শত শত লোক ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে পালিয়ে আসছে। পুলিশ এ ব্যাপারে তৎপর না। ফলে এ জেলা মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে।”

অন্যান্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরাও জানিয়েছেন এমন তথ্য। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, গত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাতের আঁধারে ট্রালারে করে পাচঁশতাধিক লোক শরীয়তপুরের বিভিন্ন চরাঞ্চলে এসে অবস্থান নিয়েছেন।

আবার এলাকাবাসী ঘরে থাকার সরকারি নির্দেশনা মানছে না।

পালং উত্তর বাজার এলাকার বাসিন্দা দিদাদুল ইসলাম বলেন, “শরীয়তপুরের লোকজন সরকারি নির্দেশনা মানছে না। বাজারে গেলে মনে হয় ঈদের উৎসব। তাদের মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।”

রবি ও সোমবার জেলা শহর, আঙ্গারিয়া বাজার, মনোহর বাজার ও গঙ্গানগর বাজারে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভিড় দেখা গেছে। সেখানে কেউ সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। তারা মাস্ক ছাড়াই বাজারে দলবেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কেনাকাটা করছে।

পালং থানার ওসি মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, “আমরা অনেক চেষ্টা করছি মানুষকে ঘরে রাখতে। পুলিশের কথা কেউ শুনছে কেউ শুনছে না। আমাদের যেভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আমরা সেভাবেই কাজ করছি।”

জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন নদীতে অভিযান চালিয়ে চারটি ট্রলারভর্তি লোকজনকে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু ওই লোকজন পরে কোথায় গেছে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি।

ইউএনও বলেন, “এর পরও কিছু লোক রাতের বেলা পালিয়ে আসছে। খবর নিয়ে ওই এলাকাগুলোয় স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন পাঠিয়ে তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।”

বাজারে লোকজনের ভিড় কমনো যাচ্ছে না বলে স্বীকার করেছেন শরীয়তপুর সদর উপজেলার ইউএনও শেখ মো. মাহবুব রহমান।

তিনি বলেন, “জেলা শহরের পালং বাজার, আঙ্গারিয়া বাজার, মনোহর বাজার ও গঙ্গানগর বাজারে লোকজনের ভিড় কমনো যাচ্ছে না।  বারবার বলার পরও তারা শুনছে না। এ কারণে সেনাবাহিনীর কাছে লিস্ট দিয়েছি। তারা যেন এ বাজারগুলো অভিযান চালায়।”