বান্দরবানে এখনও চলছে ইটভাটা

নভেল করোনভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সরকার প্রায় সবকিছু বন্ধ ঘোষণা করে সবাইকে ঘরে থাকতে বললেও বান্দরবানে অনেক ইটভাটা চালু রয়েছে।

বান্দরবান প্রতিনিধি বান্দরবান প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 April 2020, 05:58 AM
Updated : 13 April 2020, 05:59 AM

রোববার বান্দরবান সদর উপজেলার কুহালং ইউনিয়নের গুংগুরু খিয়াং পাড়ায় এবিসি ইটভাটায় গিয়ে দেখা গেছে, শ্রমিকরা  কেউ মাটি প্রস্তুত করছে, কেউ ইট তৈরি করছে, চুল্লিতে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। তারা কেউ কেউ মাস্ক আর কেউ কেউ মুখে গামছা বেঁধে কাজ করছিলেন।

এ সময় সাংবাদিক পরিচয় দিলে তারা কাজ ছেড়ে তাদের কুঁড়েঘরে চলে যান। ইটভাটার পাশেই তাদের থাকার জায়গা।

মো. রাসেল নামে এক শ্রমিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা সকাল ৭টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত কাজ করেন। এখন প্রায় ১০০ শ্রমিক কাজ করছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো নির্দেশনা তাদের দেওয়া হয়নি বলে তিনি জানান।

এই শ্রমিকদের বেশির ভাগই নোয়াখালী থেকে এসেছে বলেও তিনি জানান।

গুংগুরু পাড়ার বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, শত শত শ্রমিক দিয়ে ভাটা চালু রাখার কারণে তারা করোনাভাইরাস ছড়ানোর আতঙ্কে রংয়েছেন।

এ বিষয়ে এবিসি ইটভাটার মালিক ইসলাম বলেন, “ভাটা বন্ধ রাখার নির্দেশনা পাইনি। পেলে বন্ধ রাখা হবে।”

একই ইউনিয়নের ক্যামলং পাড়ায় চালু রয়েছে এমবিবি নামে একটা ইটভাটা।

এই ভাটার ব্যবস্থাপক মো. ইউসুফ বলেন, “প্রতিদিন দেড়শর মত শ্রমিক কাজ করছেন। বন্ধ রাখার কোনো নির্দেশনা পাইনি।”

এমবিবি ভাটার মালিক মকসুদও ইটভাটা বন্ধ রাখার কোনো নির্দেশনা পাননি বলে দাবি করেছেন।

তবে বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে কিছু ভাটা বন্ধ করে রাখতেও দেখা গেছে। জেলা শহরের পাশে ছাইঙ্গ্যা এলাকায় এবিএম এবং বিবিসি নামে দুইটা ভাটা বন্ধ দেখা গেছে। ভাটা দুটির প্রবেশমুখে বাঁশের প্রতিবন্ধক দেওয়া হয়েছে।

ভাটা চালু রাখার বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শামীম হোসেন বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ইটভাটা মালিক সমিতিকে সব ভাটা বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এখনও কোনো ভাটা চালু থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।