রোববার সকালে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে লালমোহন থানা পুলিশ বদরপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার জুয়েলের ঘরের খাটের নিচে মাটি খুঁড়ে লুকিয়ে রাখা সাত বস্তা চাল উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এছাড়াও ওই ওয়ার্ডের চৌকিদার শাহে আলমের ঘর থেকে আরও ছয় বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। এসব চাল সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির।
ইউপি মেম্বার জুয়েল আত্মগোপন করলে তার বাবা সাবেক মেম্বার নান্নুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে।
লালমোহন থানার ওসি মীর খায়রুল কবীর জানান, রোববার সকাল ৬টার দিকে ৯৯৯ এ ফোন পাই বদরপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার জুয়েলের ঘরে মাটির নিচে চাল লুকিয়ে রাখা হয়েছে।
“আমরা ওই বাড়িতে অভিযান চালাই। এ সময় জুয়েল মেম্বারের ঘরের খাটের নিচ থেকে মাটি খুঁড়ে পাঁচ বস্তা চাল এবং ঘরের পেছন থেকে আরো দুই বস্তা চাল উদ্ধার করি।
“জুয়েলকে না পাওয়ায় তার বাবা নান্নুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।”
সে সময় ওই ঘর থেকে সরকারি খাদ্য অধিদপ্তরের নাম লেখা সাতটি খালি বস্তা ও সাতটি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, একদিন আগে শনিবার একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার ওমর এর এলাকা থেকে বিভিন্ন বাড়িতে ও স্ব-মিলের কাঠেরগুড়োর মধ্যে লুকিয়ে রাখা আরো ১৫ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফরিদুল হক তালুকদার, তার ভাতিজা ওয়ার্ড মেম্বার ওমরসহ চারজনকে আসামি করে মামলা হয়। ওমর মেম্বারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে কারগারে পাঠায় আদালত।
এদিকে, বদরপুর ইউনিয়নে পুলিশের অভিযানের খবর পেয়ে বিভিন্ন বাড়িতে চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের লুকিয়ে রাখা সরকারি চাল লুকানোর হিড়িক পড়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।