রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক জানান, ৭/৮ দিন আগে ওই যুবক নারায়নগঞ্জ থেকে একটি ট্রাকে করে রাতের আঁধারে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের বগুড়াপাড়ায় বাড়ি ফেরেন।
তিনি জানান, বাড়ি আসার পর থেকে করোনাভাইরাসের উপসর্গ তার শরীরে দেখা দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা গিয়ে তার নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের করোনা ল্যাবে পাঠায়।
“রোববার নমুনা পরীক্ষা করে তার শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়।”
ডা. এনামুল হক জানান, তার বাড়িসহ আশপাশের এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। তার সঙ্গে ওই ট্রাকে আরো অনেকেই ছিলেন। বাড়ি ফিরেই এলাকার হাট-বাজারে অবাধে ঘুরে বেড়িয়েছেন এই ব্যক্তি। এগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
“যারা ঢাকা-নারায়নগঞ্জ থেকে এসেছে, তাদের শনাক্ত করার জন্য প্রচার চালানো হচ্ছে। দ্রুত তাদের শনাক্ত করা গেলে অনেকটা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।”
পুঠিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হিরা বাচ্চু জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই রাতের বেলা মাছ ও সবজিবাহী ট্রাকে করে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে গার্মেন্টসকর্মীরা ফিরছিলেন। এই ব্যক্তিও নারায়ণগঞ্জ থেকে এলেও তথ্য গোপন করে এলাকায় স্বাভাবিক চলাফেরা করেন। পরে জানতে পেরে জোর করেই তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
তিনি বলেন, “এমন অসংখ্য মানুষ ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে রাজশাহী ফিরেছেন। তাদের নিয়েই এখন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাই তাদের বিষয়ে তথ্য দিয়ে চিহ্নিত করার জন্য প্রতিবেশিদের অনুরোধ করছি।”