রোববার রোসাটম বাংলাদেশের জনসংযোগ শাখার কর্মকর্তা ফরহাদ কামাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান,
প্রথম ইউনিটের অভ্যন্তরীণ কন্টেইনমেন্টের নির্মাণের তৃতীয় ধাপে ১২টির প্রি-স্ট্রেসড্ মাউন্টিং ব্লক স্থাপন করা হবে।
অভ্যন্তরীণ কন্টেইনমেন্টের মোট উচ্চতা হবে ৬১.৭ মিটার। দ্বিতীয় ধাপে ২০ মিটারের নির্মাণ সম্পন্ন হয়; তৃতীয় ধাপে ১৪.৫ মিটার নির্মাণের কাজ চলছে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
মাটির নিচে ৩০ মিটার কাঠামোর নির্মাণ সম্পন্ন হবার পর স্থাপিত হয়েছে কোর ক্যাচার। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এ কোর ক্যাচার। একইসঙ্গে এগিয়ে চলছে বহিঃস্থ কন্টেইনমেন্টের নির্মাণ কাজ। এটির উচ্চতা হবে ৬৪.৫ মিটার।
রাশিয়া থেকে আসার পর চলতি বছরেই প্রথম ইউনিটে রিয়্যাক্টর ইন্সটলেশন কাজ শুরু হবে বলেও জানিয়েছেন রূপপুর প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
রূপপুর প্রকল্প সাইটে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন অনুসরণ করে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রুশ সরকারের কারগরী ও আর্থিক সহায়তায় নির্মিত হচ্ছে। প্রকল্পটিতে দু'টি ইউনিট থাকবে, প্রতিটিতে স্থাপিত হবে সর্বাধুনিক তিন প্লাস প্রযুক্তির ভিভিইআর- ১২০০ রিয়্যাক্টর। কেন্দ্রটির মোট উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদুৎ।