ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের শতাধিক লোক এল শরীয়তপুরে, জেলায় উদ্বেগ

করোনাভাইরাসের সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ এলাকা ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে ট্রলারে শতাধিক লোক শরীয়তপুরে আসার খবর পাওয়া গেছে।

কে এম রায়হান কবীর শরীয়তপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 April 2020, 02:22 PM
Updated : 11 April 2020, 02:22 PM

শরীয়তপুরের বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা এই তথ্য সাংবাদিকদে জানান।

তবে কয়েকজনকে চিহ্নিত করে তাদের বাড়ি অবরুদ্ধ করা হলেও সবাইকে চিহ্নিত করা কিংবা কোয়ারেন্টিনে নেওয়া সম্ভব হয়নি। 

সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন জানায়, গত কয়েকদিন ধরে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও চাদঁপুর থেকে বিকালে ও রাতের প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ট্রলারযোগে শতাধিক লোকজন শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ চরাঞ্চলে এসে অবস্থান নিয়েছে। কাজের সুবাদে এরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মামুন উল হোসাইন বলেন, “যেখানে লোকজন আসছে বলে খবর পাই, সাথে সাথে সেখানে গিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেই। এরপরও যদি কেউ পালিয়ে আসে আমাদের করার কী আছে। আমরা সব ঘাটগুলো বন্ধ করে দিয়েছি যাতে ওরা এ জেলায় আসতে না পারে।”

গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মপ্লেক্সের চিকিৎসক হাফিজুর রহমান জানান,

গোসাইরহাট উপজেলার হাটুরিয়া ইউনিয়নের চরভোয়াইসহ চরাঞ্চলে ৫০ জনের মতো এসেছে।

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে রাতে পালিয়ে ট্রলারযোগে এ উপজেলার বড়কান্দি, জয়নগর, সেনেরচর ও পৌরএলাকার কবিরাজকান্দি এলাকায় ২০ জন অবস্থান নিয়েছে।

“আমি বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনদেরকে জানিয়েছি। তাদের পক্ষ থেকে তেমন সাড়া পাওয়া যায় না। আমি এলাকা পরিদর্শন করে তাদের বাড়িঘর ‘লকডাউন’ করে রাখা হয়েছে।”

ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোস্তফা খোকন বলেন, “আমাদের উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৫৪ জনের আসার খবর পেয়ে তাদের বাড়ি গিয়ে নমূনা সংগ্রহ করছি। এছাড়া রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত তাদের ঘরের বাইরে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।”

নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাজিব হাওলাদার বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে ৩০ জনের মতো লোক আমাদের এলাকায় রাতের বেলায় ট্রলার যোগে পালিয়ে এসেছে। এরা বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এদের কারণে অন্য মানুষগুলো করোনা ঝুঁকিতে পড়বে। জরুরিভিত্তিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

এছাড়া ভেদরগঞ্জের লাকার্তা, নাজিমপুর, নারায়নপুর, গৈড্যা এলাকায় ২৫ জন এবং সদর উপজেলার টুমচর ও কাশিপুর গ্রামে তিন জন আসার খবর জানান স্থানীয়রা।