থানার দুই পরিদর্শকসহ সব সদস্য কোয়ারেন্টিনে যাওয়ায় জেলা পুলিশ লাইন থেকে ৩৫ জন পুলিশ সদস্যকে সেখানে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ শনিবার বলেন, শুক্রবার ভৈরব থানা পুলিশের এক উপপরিদর্শকের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া পর থানার সব পুলিশ সদস্যকে কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি লুবনা ফারজানা জানান, ৬৪ জন পুলিশ সদস্যের মাঝে দুইজন পরিদর্শকসহ (ওসি) ৩১ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে এবং বাকি ৩৩ জনকে স্থানীয় শহীদ আইভি রহমান পৌর স্টেডিয়ামে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা নেওয়া হয়েছে।
ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. বাহার উদ্দিন জানান, করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেওয়ায় ওই উপপরিদর্শকের নমুনা সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান- আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছিল।
“গতকাল দুপুরে আসা রিপোর্টে তার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত বলে নিশ্চিত করা হয়। পরে বিকেলেই তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।”
ওই পুলিশ সদস্যের সংস্পর্শে আসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসারসহ অপর চার চিকিৎসককেও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ জানিয়েছেন।