যশোরে চিকিৎসায় অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগ

যশোরে চিকিৎসায় অবহেলায় এক নারী পুলিশ কর্মকর্তার স্বামীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

যশোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 April 2020, 03:03 PM
Updated : 9 April 2020, 03:03 PM

ইনসপেক্টর পদমর্যাদার ওই পুলিশ কর্তার অভিযোগ, অক্সিজেনসহ প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র না দেওয়ায় তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে আহসানুল ইসলাম (৪৮) নামের ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, রোগী ভর্তির পর চিকিৎসক চিকিৎসাপত্র দিয়েছেন। খুব বেশি সময় পাওয়া যায়নি বলে তার মৃত্যু হয়েছে।

হাসপাতাল ও স্বজনদের কাছ থেকে জানা যায়, সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে; ৮টা ২০ মিনিটে করোনারি কেয়ার ইউনিটের ওয়ার্ডে নেওয়া হয়। এরপরই তার মৃত্যু হয়।

নড়াইলের নড়াগাতি থানার ওসি রোকসানা খাতুন বলেন, তার স্বামী আহসানুল ইসলাম বাংলাদেশ রেলওয়েতে কর্মরত ছিলেন। তিনি যশোর কোতোয়ালি থানার স্টাফ কোয়ার্টারে থাকতেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তার বুকে ব্যথা ওঠে এবং দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। এ সময় তিনি যশোর কোতোয়ালি থানার ওসিকে ফোন দিয়ে তার সহায়তায় স্বামীকে হাসপাতালে পাঠান।

এরপর যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তাকে ভর্তি করিয়ে করোনারি কেয়ার ইউনিটের সিসিইউ ওয়ার্ডে পাঠানো হয় বলে রোকসানা জানান।

তিনি অভিযোগ করেন, সেইসময় দায়িত্ব পালনকারী চিকিৎসক ওষুধ লিখে তার পায়ের কাছে স্লিপ রেখে চলে যান। শ্বাসকষ্ট হলেও তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়নি।

এসময় তার স্বামী ফোন করে চিকিৎসায় অবহেলার কথা জানান বলে রোকসানার অভিযোগ।

পাশের বেডের রোগীরাও তাকে ফোনে চিকিৎসায় অবহেলার কথা জানান বলে রোকসানার ভাষ্য।

এরপরই যশোরের পুলিশ সুপার ফোনে তাকে স্বামীর মৃত্যুর খবরটি জানান, বলেন এই পুলিশ পরিদর্শক।

রোকসানা খাতুন তার স্বামীর মৃত্যুর বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দোষীদের শাস্তির আবেদন করেছেন।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক দিলিপ কুমার রায় বলেন, “করোনারি কেয়ার ইউনিটে ভর্তির পর চিকিৎসক তাকে দেখে চিকিৎসাপত্র দেন। হাসপাতাল থেকে যা সরবরাহ করার তা রোগীকে দেওয়া হয়। কিন্তু বাইরে থেকে ওষুধ আনার প্রয়োজনে রোগীর পাশে কোনও লোক না থাকায় সেটা আনা হয়নি। তাছাড়া রোগী মাত্র ১০ মিনিট সময় দিয়েছে। ফলে তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।”

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দায়িত্বরত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে তিনি জানান।

অক্সিজেন কেন দেওয়া হয়নি প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “অক্সিজেন দেওয়ার দায়িত্ব নার্সের। কেন তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়নি তা এখনও সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে জানাননি।”