ভাইরোলজি বিভাগে স্থাপিত এই ল্যাবরেটরিতে বৃহস্পতিবার ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয় বলে জানিয়েছেন করোনা চিকিৎসক কমিটির আহবায়ক আজিজুল হক আজাদ।
আজিজুল হক বলেন, “নমুনা সংগ্রহের হার দিন দিন বাড়ছে। তবে আরও বেশি সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা করতে চাই আমরা। এছাড়া এখন পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগে কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। এতে বলা যাবে না রাজশাহীতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী নেই। বেশি বেশি নমুনা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানা সম্ভব।”
তিনি বলেন, রাজশাহী সংক্রমক ব্যাধি হাসপাতালে যে চারজন ভর্তি ছিলেন তাদের নমুনা পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কারও শরীরে কারোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি। এ কারণে চারজনের মধ্যে তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আরেকজনকে হাসপাতালের সাধারণ ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়।
তিনি জানান, জ্বর-সর্দি ও কাশি নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। তাদের ব্যাপারে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রাজশাহীর সিভিল সার্জন এনামুল হক বলেন, গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত রাজশাহীতে এক হাজার ১১৭ জনকে কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে এক হাজার ৬৫ জনকে ছাড়পাত্র দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ৫২ জন কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।
এখন পর্যন্ত রাজশাহী জেলার ৩৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে; তাদের কারও নমুনায় করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি বলে তিনি জানান।
দেশে আইইডিসিআর ছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, কক্সবাজারসহ বেশ কয়েকটি স্থানে করোনাভাইরাস পরীক্ষা হচ্ছে।