বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় এ তথ্য জানান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর মোবারক হোসেন।
নতুন আক্রান্তরা হলেন উপজেলার কোন্ডা ইউনিয়নের ২৬ বছরের এক তরুণী এবং শুভাঢ্যা ইউনিয়ের ৪৯ বছরের এক পুরুষ। তাদের চিকিৎসার জন্য রাজধানীর উত্তরার ‘কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মীর মোবারক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আক্রান্তদের দুইজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হওয়ার বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিলে তারা নিজে থেকেই পরীক্ষা করান। বৃহস্পতিবার পরীক্ষার ফলাফলে আসে তারা দুইজনই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন।”
এছাড়াও গত বুধবার চারজনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছি। এদের ফলাফল পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার ওই দুই ইউনিয়নের দুই এলাকায় আক্রান্ত দুইজনকে চিকিৎসার জন্য রাজধানীর উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এ উপজেলায় গত রোববার থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা মোট দশজনে দাঁড়ালো জানিয়ে ডা. মোবারক বলেন, “আজ যে দুইজন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে তাদের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।”
কেরানীগঞ্জে প্রতিদিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে ইতোমধ্যে পাঁচটি ইউনিয়ন সম্পূর্ণ লকডাউন করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। যার মধ্যে শুভাঢ্যা ইউনিয়নও রয়েছে।
বৃহস্পতিবার কোন্ডা ইউনিয়নে একজন নতুন রোগী শনাক্ত হওয়ায় আক্রান্তের এলাকাটি পর্যবেক্ষণ করে এলাকা ও ইউনিয়নটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।
ডা. মীর মোবারক হোসেন বলেন, “আক্রান্তদের এলাকাগুলোয় বসবাসরত মানুষের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়গুলো আমরা দেখভাল করব আর হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে সব ধরণের সহযোগিতার পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়গুলো উপজেলা প্রশাসন দেখবে।”