বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের পারুয়া গ্রামের কুশলডাঙ্গী বাজার এলাকা থেকে চালের বস্তাগুলো উদ্ধার করা হয় বলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল আলম সুমন জানান।
আটকরা হলেন- বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পারুয়া গ্রামের কুশলডাঙ্গী বাজার এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে জামিরুল ইসলাম (৪৫) ও আমজানখোর ইউনিয়নের রতনাই গ্রামের মুসা মিয়ার ছেলে নসিমন চালক পান্না কাওসার (৩০)।
পরে ওই দুটি অটোরিকশা ও একটি নসিমনকে আটক করে হটলাইন নম্বর ৯৯৯ কল করে বিষয়টি জানানো হয়। এর আগেই অটোকিশার ভ্যানের চালক পালিয়ে যায়। তবে নসিমন চালককে আটক করে রাখা হয়।
“পরে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল আলম সুমন ঘটনাস্থলে গিয়ে নসিমন ও অটোরিকশাভ্যান থেকে ও নসিমন গাড়ি থেকে ১০ টাকা কেজির ৬৮ বস্তা চাল উদ্ধার এবং নসিমনের চালক পান্না কাওসারকে আটক করেন।”
“পরে মেসার্স ভাই ভাই হাস্কি মিলের গোডাউনসহ আরও চারটি গোডাউন সিলগালা করে দেওয়া হয় এবং চাল ডিলারের ভাই জামিরুল ইসলামকে আটক করা হয়।”
আমিরুলের স্ত্রী কুলসুম আক্তার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল আলম সুমন বলেন, উদ্ধার ৬৩০ বস্তা চাল থানায় রাখা হয়েছে। হতদরিদ্র্যের চাল কেন মজুদ করা হয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। সেই সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
এ বিষয়ে জানতে আমিরুল ও তার স্ত্রী কুলসুম আক্তারের মোবাইলে ফোন করলে বন্ধ পাওয়া যায়।