আ.লীগ নেতা ‘মসজিদে যাওয়ার পথে আটকালেন’ ১০ টাকার চাল, ৬৩০ বস্তা উদ্ধার

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল মসজিদে যাওয়ার পথে দশ টাকা দরের ৬৮ বস্তা চাল আটকের পর খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন গিয়ে উদ্ধার করে আরও ৫৬২ বস্তা চাল।   

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 April 2020, 11:07 AM
Updated : 18 April 2020, 07:11 PM

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের পারুয়া গ্রামের কুশলডাঙ্গী বাজার এলাকা থেকে চালের বস্তাগুলো উদ্ধার করা হয় বলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল আলম সুমন জানান।

আটকরা হলেন- বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পারুয়া গ্রামের কুশলডাঙ্গী বাজার এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে জামিরুল ইসলাম (৪৫) ও আমজানখোর ইউনিয়নের রতনাই গ্রামের মুসা মিয়ার ছেলে নসিমন চালক পান্না কাওসার (৩০)।

মনিরুজ্জামান মুকুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ফজরের নামাজ পড়ার জন্য ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে মসজিদের পথে রওনা হই।  এ সময় দুইটি অটোরিকশা ভ্যান ও একটি নসিমনে করে হতদরিদ্র্যের ১০ টাকা কেজির চাল কুশরডাঙ্গী বাজারে নিয়ে যেতে দেখি।

পরে ওই দুটি অটোরিকশা ও একটি নসিমনকে আটক করে হটলাইন নম্বর ৯৯৯ কল করে বিষয়টি জানানো হয়।  এর আগেই অটোকিশার ভ্যানের চালক পালিয়ে যায়। তবে নসিমন চালককে আটক করে রাখা হয়।

“পরে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল আলম সুমন ঘটনাস্থলে গিয়ে নসিমন ও অটোরিকশাভ্যান থেকে ও নসিমন গাড়ি থেকে ১০ টাকা কেজির ৬৮ বস্তা চাল উদ্ধার এবং নসিমনের চালক পান্না কাওসারকে আটক করেন।”

বালিয়াডাঙ্গীর ইউএনও খায়রুল আলম সুমন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আটক নসিমন চালকের দেওয়া তথ্য মতে ১০ টাকা কেজি চালের ডিলার আমিরুল ইসলাম এমরুলের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তার নিজস্ব মেসার্স ‘ভাই ভাই হাস্কি মিলের’ একটি গোডাউন থেকে ১০ টাকা কেজির ৫৬২ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়।

“পরে মেসার্স ভাই ভাই হাস্কি মিলের গোডাউনসহ আরও চারটি গোডাউন সিলগালা করে দেওয়া হয় এবং চাল ডিলারের ভাই জামিরুল ইসলামকে আটক করা হয়।”

আমিরুলের স্ত্রী কুলসুম আক্তার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য।

ইউএনও বলেন, “অভিযান পরিচালনার করার সময় আমিরুল ও তার স্ত্রী অন্যদের নিয়ে পালিয়ে যায়।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল আলম সুমন বলেন, উদ্ধার ৬৩০ বস্তা চাল থানায় রাখা হয়েছে। হতদরিদ্র্যের চাল কেন মজুদ করা হয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। সেই সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।

এ বিষয়ে জানতে আমিরুল ও তার স্ত্রী কুলসুম আক্তারের মোবাইলে ফোন করলে বন্ধ পাওয়া যায়।