সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক নেই, দুর্ভোগে শ্রীনগরের মানুষ

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার আটপাড়া ইউনিয়নে নির্মিত একটি সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক না থাকায় মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ফারহানামির্জা, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 April 2020, 07:48 AM
Updated : 9 April 2020, 07:48 AM

তারাটিয়া-কর্কটপাড়া সড়কে মান্নান দেওয়ানের বাড়ির সামনে খালের উপর এই সেতু নির্মিত হয় ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে সেতুর কাজ শেষ হলেও অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ এখনও শুরু হয়নি।

দুই পাশের রাস্তায় মাটি ভরাট না করায় কোনো প্রকার যানবাহন সেতুতে উঠতে পারে না।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণে ৩০ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৬ টাকা ব্যয় হয় বলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস জানিয়েছে।

সরেজমিনে জানা যায়, শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের চলাচলে বিকল্প রাস্তা না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের এই সেতু ব্যবহার করতে হয়। এখানকার কৃষকরা আলু, ধানসহ নানা কৃষিপণ্য বাজারজাত কিংবা সংরক্ষিত করার সময় আনা নেওয়া করতে হয়।

সেতু অ্যাপ্রোচ সড়কে কাজ শেষ না হওয়ায় এলাকাবাসী নিজিদের অর্থায়নে চলাচলের জন্য দুই পাশে কাঠের মাচা ও বালু ভরাট করেছেন বলে স্থানীয়রা জানান।

এতে ঝুঁকি নিয়ে হাঁটা-চলা কিংবা মালামাল নিয়ে যানবাহন পারাপার করতে দেখা গেছে।

স্থানীয় আরিফুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ব্রিজ হলেও দুই পাড়ে মাটি ভরাট করা হয়নি এক বছরেও। পরে এলাকাবাসীর চাঁদার টাকায় ব্রিজের পূর্ব পাশে কাঠের মাচা ও পশ্চিম পাশে বালুর বস্তা দিয়ে কোনোরকম চলাফেরা করছি।”

তবে অটো, ভ্যান, রিকশা ও মোটরসাইকেল আরোহীরা সেতু পারাপারে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “কী করব, বিকল্প কোনো রাস্তাও নেই। বাধ্য হয়েই ঝুঁকিপূর্ণভাবেই ব্রিজে উঠতে হচ্ছে।”

এ সময় কয়েকজন শ্রমিককে নির্মাণসামগ্রী নিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মালামাল আনা-নেওয়া করতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মিন্টু বলেন, এ বিষয়ে সাবেক ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছিল। ব্রিজ নির্মাণ কাজ অসমাপ্ত অবস্থায় ব্রিজ রং করার জন্য এসেছিলেন। তখন এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েন ঠিকাদারের লোক। এখনও ব্রিজের দুই পাশে কাজ বাকি রয়েছে।

এ ব্যাপারে ঠিকাদার আলী আকবরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রেজওয়ান বলেছেন, “বিষয়টি ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। শীঘ্রই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”