তারাটিয়া-কর্কটপাড়া সড়কে মান্নান দেওয়ানের বাড়ির সামনে খালের উপর এই সেতু নির্মিত হয় ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে। ২০১৯ সালের জুলাইয়ে সেতুর কাজ শেষ হলেও অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ এখনও শুরু হয়নি।
দুই পাশের রাস্তায় মাটি ভরাট না করায় কোনো প্রকার যানবাহন সেতুতে উঠতে পারে না।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণে ৩০ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৬ টাকা ব্যয় হয় বলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস জানিয়েছে।
সেতু অ্যাপ্রোচ সড়কে কাজ শেষ না হওয়ায় এলাকাবাসী নিজিদের অর্থায়নে চলাচলের জন্য দুই পাশে কাঠের মাচা ও বালু ভরাট করেছেন বলে স্থানীয়রা জানান।
এতে ঝুঁকি নিয়ে হাঁটা-চলা কিংবা মালামাল নিয়ে যানবাহন পারাপার করতে দেখা গেছে।
তবে অটো, ভ্যান, রিকশা ও মোটরসাইকেল আরোহীরা সেতু পারাপারে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “কী করব, বিকল্প কোনো রাস্তাও নেই। বাধ্য হয়েই ঝুঁকিপূর্ণভাবেই ব্রিজে উঠতে হচ্ছে।”
এ সময় কয়েকজন শ্রমিককে নির্মাণসামগ্রী নিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মালামাল আনা-নেওয়া করতে দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার আলী আকবরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রেজওয়ান বলেছেন, “বিষয়টি ঠিকাদারকে বলা হয়েছে। শীঘ্রই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”