পুলিশ বন্ধ করেও খুলে দিল পেট্রোল পাম্পটি

নভেল করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে বন্ধ করার একদিন পর ফের গাইবান্ধার এক জ্বালানি তেলের পাম্প খুলে দিয়েছে পুলিশ।

গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 April 2020, 08:08 PM
Updated : 8 April 2020, 08:08 PM

বুধবার দুপুর ১২টার দিকে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের শাহানা ফিলিং স্টেশন খুলে দেন সাদুল্লাপুর থানার ওসি মাসুদ রানা।

এর আগের রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলা পুলিশের একটি টহল দল তেল পাম্পে উপস্থিত হয়ে ‘কোনো কারণ ছাড়াই’ পাম্পটি বন্ধ করে দেয়।

ওসি মাসুদ রানা জানান, ‘তার থানার কেউ’ এই পাম্পটিতে তেল বিক্রি বন্ধ করে দেয় নাই।

তিনি আরও জানান, কী কারণে কারা এ পাম্পের তেল বিক্রি বন্ধ করে দেয় এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

তিনি পাম্পের ব্যাবস্থাপক ও কয়েকজন কৃষকের কাছ থেকে মঙ্গলবার ঘটনাটি জেনেছেন বলে জানান তিনি।

পরে জেলা পুলিশ সুপারকে বিষয়টি অবহিত করে বুধবার তেল বিক্রি চালু রাখার নির্দেশনা দিয়ে আসা হয়েছে বলেন তিনি

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নবীনেওয়াজ জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে যে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তার আওতামুক্ত ওষুধ ও তেল পাম্প।

“আমার জানা মতে এটি করার কথা নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”  

গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, ওই তেল পাম্প থেকে অবৈধ পরিবহন ট্রাক্টর (কাকড়া) এ তেল বিক্রি করার অভিযোগে জেলা পুলিশের একটি টহল টিম এ কাজ করেছে বলে তিনি প্রাথমিকভাবে জেনেছেন।

“তারপরও বিষয়টি তদন্ত অব্যাহত রাখা হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, জেলার সব পেট্রোল পাম্প করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি নিদের্শনার আওতামুক্ত থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত তারা অন্য সময়ের মত স্বাভাবিকভাবে তেল বিক্রি চালু রাখবেন।

শাহানা ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক মিজানুর রহমান জানান, কেন তেল পাম্প বন্ধ করতে হবে জানতে চাইলে পুলিশ পিকাপ থেকে নেমে আসা কয়েকজন সিভিল ড্রেস ও কয়েকজন পুলিশের নির্ধারিত পোশাক পরিহিত ব্যক্তি তাদের সাথে অত্যান্ত দুর্ব্যবহার করেন।

তিনি আরও জানান, পর দিন গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে আবার একই পিকআপে জেলা পুলিশের একই দল পাম্পে আসে এবং পাম্প খোলা রাখা হল কেন জানতে চায়।

‘পাম্পের সব বাতি নিভিয়ে দিয়ে তেল বিক্রি করতে নিষেধ করে যান।’

এদিকে বোরো ধান মৌসুমে ক্ষেতে সেচ দিতে উপজেলার হাজার হাজার কৃষক গত মঙ্গলবার সারাদিন শাহানা ফিলিং স্টেশনে এসে ডিজেল না পেয়ে ঘুরে যান। পরে ওই কৃষকদের মধ্যে অনেকে সাদুল্লাপুর থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করেন।