নারায়ণগঞ্জ থেকে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে পালিয়ে আসা এক যুবককে (৩৩) উপজেলার গোপীনাথপুরে নবনির্মিত ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) ভবনের আইসোলেসন ইউনিটে ভর্তি রাখা হয়েছে। তার বাড়িসহ তার ছোট ভাই ও এক প্রতিবেশীর বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
কেশবপুর গ্রামবাসীরা জানান, ওই তিন বাড়ি লকডাউনের ঘোষণার পর থেকে গ্রামজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
“যদিও এখনও রির্পোট কী আসে জানা নাই, তারপরেও আমরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।”
বুধবার দুপুরে সরেজমিনে কেশবপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রামের রাস্তার সঙ্গে লাগানো নারায়ণগঞ্জ ফেরত যুবকের বাড়ি। তার বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে অনায়াসে লোকজন চলাচল করছে। যুবকের বাড়ির পাশে প্রতিবেশীর বাড়িটিও লকডাউন।
ওই প্রতিবেশীর বাড়ির লোকজনকে বাড়ি থেকে বের হতে দেখা গেছে।
আবার লকডাউন তিন বাড়ির পাশে একটি বাঁশঝাড়ের নিচে বসে আছে লোকজন। সেখানে প্রশাসনের কোনো লোকজন দেখা যায়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি মেডিকেল টিম ওই যুবকের বাড়িতে গিয়ে তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ পায়। গত সোমবার তাকে গোপীনাথপুরের আইসোলেশনে রাখা হয়। পরে মঙ্গলবারে তার নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাধেশ্যাম আগরওয়ালা জানান, উপসর্গ থাকা ওই যুবকের বাড়িসহ তার ছোট ভাইয়ের বাড়ি এবং প্রতিবেশীর এক বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিয়া জানান, ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে আসা ১৩ জন হোম
কোয়ারেন্টিনে, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে দুইজন ও একজনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
এদের করোনাভাইরাস উপসর্গ সন্দেহে নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। সেই সাথে রোগীর বাড়িসহ মোট তিনটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
প্রথম যে ২৫ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হয়েছিল, সেই ২৫ জনের ফলাফলে করোনাভাইরাস ধরা পড়েনি। এরপর যে তিনজনের নমুনা পাঠানো হয়েছিল তারাও সন্দেহ মুক্ত। নতুন আটজনের নমুনা পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়েছে। এসব পরীক্ষার রির্পোট আসলে করোনা আক্রান্ত কিনা জানা যাবে।
তবে রিপোর্ট পেতে বিলম্ব হচ্ছে বলেও জানান তিনি।