বুধবার সকাল থেকে জেলায় প্রবেশ পথ সদর উপজেলার ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ ও সদর থানা এলাকায় সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ সদস্যদের অন্যদিনের তুলনায় তৎপর দেখা গেছে। সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহন এবং জনমাগম কম দেখা গেছে।
তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক এবং ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোডে অল্প সংখ্যক যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেন, “করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। জেলা প্রবেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশির পাশাপাশি রাস্তায় চলাচলকারি সব শ্রেণির মানুষকে জবাবদিহি করতে হচ্ছে।
“পাড়া মহল্লায় সড়কগুলোতে ব্যারিকেড সৃষ্টি করা হয়েছে। যে কারণে মানুষের চলাচল কমে গেছে। নগরী অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গেছে।”
মানুষকে ঘরে রাখতে যা যা করা দরকার প্রশাসন পক্ষ থেকে তাই করা হবে জানিয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “শুধু জরুরি সেবা চালু থাকবে এবং নিয়ম অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে জেলা করোনা বিষয়ক ফোকাল পারসন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, “করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় যেকোনো মূল্যে জনসমাগম বন্ধ করতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না।”
সাইনবোর্ড এলাকায় ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট জিয়াউর রহমান বলেন, অবরুদ্ধ ঘোষণা করায় জরুরি সেবা ছাড়া কোন যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া চেকপোস্টগুলোতে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সাথে ট্রাফিক পুলিশও দায়িত্ব পালন করছেন।