জ্বর-শ্বাসকষ্টে মৃত্যু, লৌহজংয়ে ১১ পরিবার কোয়ারেন্টিনে

জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্টে মৃত্যুর পর ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ত্রাণ নেওয়া কয়েকটি পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 April 2020, 12:15 PM
Updated : 7 April 2020, 01:27 PM

মঙ্গলবার এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাবিরুল ইসলাম খান জানান।

কাবিরুল ইসলাম খান জানান, শুক্রবার লৌহজংয়ের কনকসারে কিছু পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন ৬২ বছর বয়সী এই ব্যক্তি। সেখান থেকে রাজধানীর ওয়ারীর র‌্যাংকিং স্ট্রিটের বাসায় ফিরে জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হন; সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়।  

ইউএনও বলেন, যদিও ওই পরিবারগুলো সরাসরি তার সংস্পর্শে আসেনি তারপরও সাতটি পরিবারকে আগামী ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। এ সময় তাদের খাবার-দাবার এমনকি কাঁচাবাজারও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে।

মৃতের সংস্পর্শে আসায় ইমাম-মুয়াজ্জিন কোয়ারেন্টিনে

এদিকে, উপজেলার নাগেরহাটের এক মৃত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসায় স্থানীয় একটি মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন ও মৃত ব্যক্তিকে গোসল করানো ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

এছাড়া সাতঘরিয়া মসজিদে আগামী ১৪ দিন নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

লৌহজংয়ের ইউএনও কাবিরুল ইসলাম খান জানান, গত শুক্রবার ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে নাগেরহাটের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয় শ্বসকষ্টে।

সোমবার তার লাশ গ্রামে নিয়ে আসলে পরিবারের সদস্যরা লাশের সংস্পর্শে আসেন।

তিনি বলেন, এছাড়া তার জানাজায় অংশগ্রহণ করেছেন সাতঘড়িয়া কবরাস্থান মসজিদের ইমাম ও মোয়জ্জিনসহ অনেকে।

“তাই এই মৃত ব্যক্তির আশপাশের চারটি পরিবার, তাকে গোসল করানো সাতঘড়িয়ে কবরাস্থানের পাশের এক দোকানি এবং মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিনকে আগামী ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।”

সাতঘড়িয়া কবরাস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।

ইউএনও আরও বলেন, ওই মসজিদে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করতে এসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই আগামী ১৪ দিন ওই মসজিদে সকলকে নামাজ পড়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।