সোমবার রাত ১১টার দিকে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জেলা সিভিল সার্জন এ নির্দেশ দেন।
জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, হাসপাতালের জরুরি বিভাগ বন্ধ থাকলেও বর্হি বিভাগে রোগীদের সেবা দেওয়া হবে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সীমিত পরিসরে প্রতিদিন (সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা) চিকিৎসা সেবা দেওয়া অব্যাহত থাকবে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানায়, জীবাণুমুক্ত করার লক্ষ্যে ১শ’ শয্যা বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে (ভিক্টোরিয়া) জরুরি বিভাগে রোগী দেখা কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
‘জরুরি সেবার জন্য রোগীদের শহরের খানপুরে অবস্থিত ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’
নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আইইডিসিআর-এ অধীনে চিকিৎসাধীন আছেন এক চিকিৎসকসহ ২৩ জন।
করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় জেলা প্রশাসন চারটি এলাকার এক হাজার দুইশর বেশি পরিবারকে লকডাউন করেছে।
গত রোববার দুপুরে এ পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী কারফিউ জারির দাবি জানান। এ ঘটনায় ওই দিন জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির বৈঠকে সিটি ও সদর উপজেলার (নারায়ণগঞ্জ সদর, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা) কার্যত ‘লকডাউন’ করার কথা জানানো হয়।