কেরাণীগঞ্জে বৃদ্ধ আক্রান্ত, ১৮২ পরিবার কোয়ারেন্টিনে

ঢাকার কেরাণীগঞ্জ উপজেলায় এক ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় জিনজিরা ইউনিয়নের মডেল টাউন লক ডাউন করে ১৮২ পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। এছাড়া দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারও লক ডাউন করা হয়েছে।

কেরানীগঞ্জ-দোহার-নবাবগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 April 2020, 03:35 AM
Updated : 6 April 2020, 03:41 AM

৬৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি রোববার ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান। সেখান থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে পাঠানো হলে পরীক্ষায় তার করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।

পরে আইইডিসিআরের একটি দল এসে অ্যাম্বুলেন্সে করে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে রাজধানীর উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মীর মোবারক হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তি ডায়াবেটিসের রোগী। এছাড়া তার আরও কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে। এরই মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়।

“রোববার ওই ব্যক্তি নিজে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান। সেখান থেকে নমুনা নিয়ে পরীক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে পরীক্ষায় তার করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।”

ওই দিনই আইইডিসিআরের একটি দল এসে অ্যাম্বুলেন্সে করে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে রাজধানীর উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করায় বলে তিনি জানান।

পরে উপজেলা প্রশাসন থেকে ওই ব্যক্তির আবাসিক এলাকা ও দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার লক ডাউনের সিদ্ধান্ত হয়।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কামরুল ইসলাম সোহেল বলেন, ওই ব্যক্তি উপজেলার জিনজিরা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে দুটি প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা নিয়েছেন। ফলে ওই দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মচারী-কর্মকর্তারা ওই রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন। সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে ওই দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার লক ডাউন করে সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

“এছাড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারসহ মডেল টাউনের পুরো এলাকা লক ডাউন করে মোট ১৮২টি পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

ইতোমধ্যে এলাকাটিতে হোম কোয়ারেন্টিনের ব্যানার ও লাল নিশান টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসীর হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসন তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলে জানান সহকারী কমিশনার।