বৃদ্ধের মৃত্যু, শরীয়তপুরের দুই গ্রাম ‘লকড ডাউন’

করোনাভাইরাস সংক্রমণে এক বৃদ্ধের মৃত্যুর পর শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় দুইটি গ্রাম, একটি বাজারসহ দুই আত্মীয়বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।

শরীয়তপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 April 2020, 02:29 PM
Updated : 5 April 2020, 03:16 PM

জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক আব্দুর রশিদ বলেন, নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের থিরপাড়া গ্রামের এক বৃদ্ধ (৮০) করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে শনিবার ঢাকায় উত্তরায় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে মারা যান।

“তিনি গত ২৬ মার্চের আগে ঢাকার মিরপুরের টোলারবাগ এলাকায় তার বড় ছেলের বাসায় বেড়াতে গিয়ে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন।”

নড়িয়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাসে এই বৃদ্ধের মৃত্যুর পর নড়িয়ার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের থিরপাড়া গ্রাম এবং ঘড়িষার ইউনিয়নের বাড়ৈপাড়া গ্রামের ৩৩ পরিবারকে লকডাউন করা হয়েছে।

“এছাড়া যেখানে মৃত বৃদ্ধে ছেলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠাননহ রয়েছে সেই ঘড়িষার বাজার এবং ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার ডিএমখালী ইউনিয়নের হকপুরে মৃতের ভাইয়ের বাড়ি ও একউ উপজেলার চরসেনসাস ইউনিয়নে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি লকডাউন করা হয়।”

ওসি বলেন, লকডাউন এলাকায় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী ছাড়া কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ওই এলাকাগুলোতে সার্বক্ষণিক প্রহরা রয়েছে।

নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়ন্তী রুপা রায় বলেন, থিরপাড়া ও বাড়ৈপাড়া গ্রামের ৩৩ পরিবারের ১৮০ জনসহ ওনার দুই আত্মীবাড়ি ও ঘড়িষার বাজার লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। অধিক সতর্ক থাকার জন্য এলাকায় ব্যাপক মাইকির্ং করা হচ্ছে যাতে কেউ ঘর থেকে বের না হয়।

কোনো খাবার বা নিত্যপণ্য প্রয়োজন হলে প্রশাসনের সহায়তায় জনপ্রতিনিধিরা সরবরাহ করবেন বলে জানান ইউএনও। 

চিকিৎসক আব্দুর রশিদ জানান, গত ১ এপ্রিল ওই বৃদ্ধের স্বাস্থ্যের অবনতি হলে পরিবারের লোকজন তাকে নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এরপর তার নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠান পরীক্ষার জন্য। পরে অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। শনিবার সকাল ১১টায় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর মধ্যেই তার করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিটোর্টে পজিটিভ ফল আসে।