নারায়ণগঞ্জ সিটিতে কারফিউ চান মেয়র আইভী

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে নারায়ণগঞ্জ শহরে কারফিউ জারির জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছেন সিটি মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী।

নিজস্ব প্রতিবেদকও নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 April 2020, 02:06 PM
Updated : 5 April 2020, 08:40 PM

তিনি রোববার প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ‘বিশেষ’ এই অনুরোধ জানিয়েছেন রোববার সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল আমিন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান।

ঢাকার পাশের বাণিজ্যিক নগরী নারায়ণগঞ্জে নভেল করোনাভাইরাসে ১১ জন আক্রান্ত এবং তাদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু ঘটেছে। লকড ডাউন এখন শহরের তিনটি এলাকা।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশ লকডাউন জারির পরও সাধারণ মানুষকে ঘরে রাখতে প্রশাসনের হিমশিম খাওয়ার মধ্যে সান্ধ্য আইন জারির সুপারিশ করলেন নারায়ণগঞ্জের মেয়র।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শ্রমঘন শিল্প এলাকা হওয়ায় শ্রমিক অধ্যুষিত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ার দিকটি তুলে ধরে ঝুঁকির বিষয়টি তুলে ধরা হয়।

এতে বলা হয়, “ঘনবসতিপূর্ণ এ নগরীতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি অত্যাধিক। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী মানুষের জীবন বাঁচাতে ‘জরুরি ভিত্তিতে সিটি এলাকা লকডাউন/কারফিউ জারি করার জন্য’ প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন।”

নইলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন মেয়র আইভী।

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই জেলায় এ পর্যন্ত ১১ জন নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন, তিনজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

মেয়রের আবেদনের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন বলেন, “করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রয়োজনে প্রশাসন আরও কঠোর হবে। এখানে আপস বা ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”

এদিকে রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসে আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, দেশে এখন পর্যন্ত যে ৮৮ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে, তার মধ্যে ১১ জন নারায়ণগঞ্জের।

আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, “দেশের বিভিন্ন জায়গায় রোগী পাওয়া যাচ্ছে, এ কারণে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়েছে বলা যায়। তবে তা ক্লাস্টার ভিত্তিতে আছে।

“এখনও বলছি, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু একটা কথা মনে রাখতে হবে, জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। এটা যদি না করি তাহলে সংক্রমণ কিন্তু ক্লাস্টার থেকে সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে।”