রোববার বিকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পা কর্মকর্তা ডা. সেকেন্দার আলী মোল্লা এ তথ্য দেন।
আক্রান্ত ওই নারী সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক পদে চাকরি করেন। স্বামী-সন্তান নিয়ে ঢাকার মিরপুরের টোলারবাগে থাকেন তিনি। তাকে ঢাকার উত্তরায় কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের আইসোলোশনে রাখা হয়েছে।
“স্বাস্থ্যকর্মী ও তার স্বামীর জ্বর-সর্দি কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিলে গত শনিবার ঢাকার রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) গিয়ে তারা পরীক্ষা করান।
“পরীক্ষায় তাদের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হলে তাদেরকে ঢাকার উত্তরায় কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের আইসোলোশনে ভর্তি করা হয়।”
সেকেন্দার আলী আরও জানান, ঢাকার মিপুরের টোলারবাগের যে বাড়িতে তারা থাকতেন সে বাড়িটি লকডাউন করেছে প্রশাসন। রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের দুই সন্তানের কারোর করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়নি।
“তাদের সংস্পর্শে আসা পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারান্টিনে রাখা হয়েছে।”
স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ধারণা, ওই নারী মিরপুরের টোলারবাগ এলাকা থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। সম্প্রতি টোলারবাগ এলাকায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর সেখানে লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
এ দিকে গত শনিবার রাতে তাবলিগ জামাতের মুসল্লির (৬০) শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর সিঙ্গাইর পৌর এলাকা লকাডউন ঘোষণা করে উপজেলা প্রশাসন। বর্তমান তাকে ঢাকার রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা (আইইডিসিআর) এর তত্বাবধায়নে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুনা লায়লা বলেন, “আক্রান্ত ওই মুসল্লির সংস্পর্শে আসা তাবলিগ জামাতের বাকি ১২ সদস্য ও মসজিদের ইমাম এবং তাদের পরিবারের সদস্যসহ মোট ২৮ জনকে কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।