হাসপাতালে মৃত্যুর পর লাশ নিয়ে ‘পালায় স্বজনরা’

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে জ্বর-মাথা ব্যথা নিয়ে আসা এক নারীর মৃত্যুর পর নমুনা সংগ্রহের তোড়জোরের মধ্যে লাশ নিয়ে পালিয়েছে স্বজনরা বলছেন চিকিৎসকরা।

শরীয়তপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 April 2020, 03:12 PM
Updated : 4 April 2020, 03:12 PM

শনিবার ১০টার দিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

ঐ নারীর বাড়ি শরীয়তপুর সদর উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামে।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুনির আহম্মেদ খান জানান, মৃত্যুর পর নমুনা সংগ্রহের প্রস্তুতিকালে স্বজনরা মরদেহ নিয়ে পালিয়েছে।

তিনি বলেন, “এখন করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাব এবং শরীয়তপুর একটি প্রবাসী অধ্যুষিত জেলা।

“তাই সন্দেহ এড়াতে মৃতের নমুনা সংগ্রহের পূর্বে কীভাবে স্বজনরা ছাড়পত্র পেল এবং মরদেহ নিয়ে পালিয়েছে বিষয়টি আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে।”

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও পালং মডেল থানায় খবর দিয়েছেন তিনি।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুমন কুমার পোদ্দার বলেন, “সকাল ৯টায় জ্বর ও মাথা ব্যথার এ রোগীকে নিয়ে আসে। তখন রোগী অজ্ঞান ছিল। তাকে চিকিৎসা দিয়ে ওয়ার্ডে পাঠানো হয়।

“সেখানে নেওয়ার আগেই মারা যান তিনি। নার্সরা আমাদেরকে জানানোর পর তাকে নিচে নামিয়ে আনা হয়। আমরা নমুনা সংগ্রহের জন্য কাজে ব্যস্ত এই ফাঁকে স্বজনরা মরদেহ নিয়ে পালিয়ে যায়।”

শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মহিলা ওয়ার্ডে নেওয়ার পর তার স্নায়ু (পালস) না পেয়ে নার্সরা তাৎক্ষণিকভাবে ডাক্তারকে জানায়। চিকিৎসক রনেশ বোস তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ডাক্তারের ঘোষণায় সকাল ১০টায় রোগী মারা গেছেন।

এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর নমুনা সংগ্রহ না করেই তাকে ছাড়পত্র দিয়ে দেয়।

জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের জানান, বিষয়টি জানার পর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং পালং থানার ওসিকে জানানো হয়েছে।

“তারা ঐ রোগীর বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করবে এবং ফলাফল না আসা পর্যন্ত ঐ রোগীর পরিবারসহ আশপাশের বাড়িঘরগুলো হোম কোয়ারেন্টিনে ব্যবস্থা নেবে।”

পরে পালং থানার ওসি আসলাম উদ্দিন বলেন, “আমি ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও ডা. সোবাহান এলাকায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করি। এরপর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

মৃতের পরিবারের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।