বিজিবি বা বিএসএফ কোনো পক্ষই তাকে নিজ নিজ দেশে ঢুকতে দিচ্ছে না। এ ব্যাপারে কয়েক দফা পতাকা বৈঠক হলেও বিজিবি ও বিএসএফ এই নারীতে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
এদিকে, রামগড় ৪০ বিজিবির পক্ষ থেকে এই মহিলার স্বজনের খোঁজ চেয়ে তার ছবিসহ একটি পোস্টার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সাঁটানো হয়েছে।
রামগড় ৪৩ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারিকুল হাকিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ এই মহিলা গত পরশু (বৃহস্পতিবার) ভারত থেকে নেমে এসেছেন। তার প্রকৃত পরিচয় জানতে সেদিন থেকেই নানা ধরনের প্রচেষ্টা চলছে।
“কথা না বলতে না পারায় তিনি কোন দেশের নাগরিক তা বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে বিওপি, ব্যাটালিয়ন ও সেক্টর কমান্ডার পর্যায় পর্যন্ত বেশ কয়েকবার বৈঠক হয়েছে; কিন্তু কোনো সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।”
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে উভয় দেশেই লকডাউন চলছে। এ সময় তাকে গ্রহণ করার মতো ঝুঁকি নিতে কোনো দেশই রাজি হচ্ছে না।
স্থানীয় সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন লাভলু প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে জানান, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সীমান্তের রামগড়ের এসডিও বাংলো এলাকা দিয়ে জিরো লাইন অতিক্রম করে ওই নারী ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।
“বিজিবি সদস্যরা তাকে প্রবেশে বাধা দিলে মানসিক ভারসাম্যহীন এই নারী ফেনী নদী পার হয়ে ভারতীয় অংশে উঠতে চেষ্টা করেন; কিন্তু সীমান্তের ওপারেও বিএসএফ সদস্যরা তাকে বাধা দেন। তখন থেকে এই নারী সীমান্তের শূন্য রেখায় নদীর তীরে অবস্থান করছেন।”
এ বিষয়ে রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম বদরুদ্দোজা বলেন, “বিষয়টিতে উপজেলা প্রশাসনের কিছুই করার নেই; সম্পূর্ণ বিজিবির এখতিয়ার। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলেই কেবল কিছু করা যেত।”