টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ওই র্যাব সদস্যের শ্বশুরবাড়ি টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন পল্লান পাড়ায়। গত ২০ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত তিনি শ্বশুরবাড়ি ছিলেন। ঢাকায় ফেরার পর পরীক্ষায় তার শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।
“তার সংস্পর্শে আসা শাহপরীর দ্বীপের একটি বাড়ি, পুরাতন পল্লানপাড়া এলাকার ছয়টি বাড়ি, সাতটি দোকান ও একটি ল্যাব শুক্রবার রাতে লকডাউন করা হয়েছে।”
র্যাব সদস্যের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বরাতে ইউএনও বলেন, “টেকনাফে থাকার সময় ওই র্যাব সদস্যের সর্দি-জ্বর ও কাশি হয়। ঢাকায় যাওয়ার পর পরীক্ষা করা হলে শুক্রবার তার শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। তিনি আইসোলেশনে আছেন।”
ঘটনা জানার পর শুক্রবার রাতে ইউএনও, টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক প্রণয় রুদ্র ও টেকনাফ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু হারেসের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে এসব বাড়ি ও দোকানপাট লকডাউন করে দেন।
ইউএনও বলেন, টেকনাফে এখন পর্যন্ত কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
তিনি এলাকাবাসীকে আঙ্কিত না হয়ে সচেতন হয়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ঘর থেকে বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।