এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পরকীয়া: মাগুরায় মাটি খুঁড়ে মিলল যুবকের গলাকাটা লাশ
‘পরকীয়া প্রেমের জেরে’ মাগুরায় খুন হওয়া যুবকের গলাকাটা লাশ মাটি খুঁড়ে বের করেছে পুলিশ।
Published : 3 April 2020, 07:13 PM
Updated : 3 April 2020, 07:13 PM
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মাগুরার শ্রীপুরে এ লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত যুবক পিকুল বিশ্বাস (৩৮) এর বাড়ি শ্রীপুর উপজেলার চৌগাছি গ্রামে; তিনি গত ২ মার্চ নিখোঁজ হন।
এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে একই উপজেলার চরমহেশপুর গ্রামের কাজী মোশারোফ হোসেন ও রাজিয়া সুলতানা দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধারের বিবরণ দিতে গিয়ে মাগুরার পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান জানান, পিকুল বিশ্বাস গত ২ মার্চ শ্রীপুর উপজেলার চৌগাছি গ্রাম থেকে গাজীপুরে কাশিমপুরে তার বোনের বাড়িতে বেড়ান যান। পরদিন তিনি বাড়ি উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে নিখোঁজ হন।
৭ মার্চ তার পরিবারের পক্ষ থেকে এই নিখোঁজের বিষয়ে থানায় জিডি করে।
“তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ নিশ্চিত হয়-৩ মার্চ পিকুল শ্রীপুরে আসেন এবং পিকুলের সাথে তার বাড়ির পাশের গ্রাম চরমহেশপুরের রাজিয়া সুলতানার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কথা হয়।”
পুলিশ মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে রাজিয়া সুলতানা ও তার প্রবাসী স্বামী কাজী মোশারোফ হোসেনকে শুক্রবার আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা স্বীকার করেন ‘৩ মার্চ পিকুলকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। ওই রাতে দুধের সাথে একাধিক ঘুমের বড়ি মিশিয়ে খাওয়ানোয় পিকুল অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর তার গলা কেটে হত্যা করে বাড়ির পাশের কলপাড়ে গর্ত খুঁড়ে মাটি চাপা দেন তারা।
হত্যার কারণ জানাতে গিয়ে পুলিশ সুপার বলেন,“মূলত প্রবাসী কাজী মোশারোফ হোসেনের স্ত্রীর রাজিয়া সুলতানার সাথে পরকীয়ার জেরে স্বামী-স্ত্রী মিলে পরিকল্পিতভাবে পিকুলকে হত্যা করে লাশ মাটি চাপা দিয়ে গুম করা হয়।”
তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোশারোফ হোসেনের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানার চরমহেশপুর গ্রামের বাড়ির কলপাড়ের পাশ থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।
তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ সম্পর্কিত খবর
যাবজ্জীবনের পাশাপাশি জাহিদুলকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা; অনাদায়ে আরও দুই বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দেশের পাঁচ বিভাগের ১৩ জেলায় বিশেষ নামাজ আদায় করা হয়েছে।
“পাট বপনের পর এখন পর্যন্ত তিন থেকে চার বার জমিতে সেচ দিতে হয়েছে। এরপরও পাট গাছ মরে যাচ্ছে। এতে করে পাট আবাদে খরচ বেড়ে যাচ্ছে।”
