বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুরের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে ভোরে ঢাকার এক হাসপাতালে মারা যাওয়ার পর তার লাশ দ্রুত বাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয়।
‘টিবি রোগী, শ্বাসকষ্ট ও পরে হার্ট অ্যাটকে মৃত্যুর’ কথা জানিয়ে জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম জানান, এসব তিনি ইউএনও কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন।
“তাছাড়া নিহত ব্যক্তিকে ঢাকা থেকে গোসল করিয়ে আনা হয়েছে। এখানে এনেই তাৎক্ষণিকভাবে করব দেওয়া হয়েছে। যে কারণে ভয়ের কিছু নেই।”
তবে যারা লাশটি আনা-নেওয়া ও কবরস্থ করেছেন তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সিভিল সার্জন প্রদীপ কুমার সাহা জানান, জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে জেনেছেন-নিহত যুবকের পরিবারের সদস্য, প্রতিবেশী, জানাজায় অংশ্রগ্রহণকারী, মরদেহ দাফনের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখার হবে।
জীবিকার জন্য ঢাকায় বসবাস করা বিনোদপুর গ্রামের এ যুবক যক্ষ্মায় আক্রান্ত ছিলেন বলে দাবি করে বিনোদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজান শিকদার বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে ওই যুবক শ্বাসকষ্ট নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নিহতের পরিবারের কাছ থেকে তিনি এসব জেনেছেন বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে মহম্মদপুর থানার ওসি তারক নাথ বিশ্বাস জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে তাদের কথা হয়েছে। তাদের নির্দেশানুযায়ী বেশি মানুষের ভিড় এড়াতে জানাজা ও দাফনের সময় ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।
ঢাকা থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে লাশ আনার পরপরই অল্প কয়েকজন মানুষের উপস্থিতে দূরত্ব বজিয়ে রেখে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
মৃত ব্যক্তি যক্ষ্মায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা জানার জন্য একাধিকবার তার ভাইয়ের মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও বন্ধ পাওয়া যায়।