সামাজিক দূরত্ব মানায় দেশজুড়ে ‘ব্যাপক অবহেলা’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সরকারের ‘সামাজিক দূরত্ব’ বজিয়ে রাখার আহ্বানে ব্যাপক অবহেলার চিত্র সারা দেশজুড়েই।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 April 2020, 07:36 PM
Updated : 3 April 2020, 03:07 AM

মানুষ হাটবাজারে, ত্রাণ সামগ্রী নেওয়ায়, দোকানে আড্ডায় জনসমাগম ঘটছে। কেউ আবার কাজের সন্ধানে জমায়েত হচ্ছে শ্রমিকের হাটে।

এদিকে, করোনাভাইরাসের মহামারী ঠেকাতে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় নামা সেনাবাহিনী সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং হোম কোয়ারেন্টিনের বিষয়ে সরকারি নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেবে বলে হুঁশিয়ার করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর।

করোনাভাইরাসে দেশে বুধবার অবদি আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪ জন; যাদের মধ্যে ২৬ জন সুস্থ হয়েছেন এবং মারা গেছেন ছয়জন। আর সারা বিশ্বে মৃত্যু হয়েছে ৪২ হাজারের বেশি এবং আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়েছে ৮ লাখ।

বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিধিদের পাঠানো সংবাদে নানা জেলা থেকে জনসমাগমের তথ্য উঠে এসেছে।

বগুড়া

বগুড়ার বড় বাজারগুলির মধ্যে মহাস্থান ও গোসাইবাড়ী হাটে বুধবার সাপ্তাহিক হাটবারে কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয়।

মহাস্থানগড় ও গোসাইবাড়ী ছাড়াওে বৃহৎ হাটগুলোর মধ্যে রয়েছে ধাপ, ওমরপুর, কুন্দার, শেরপুর, নয়মাইল, ধুনট, সারিয়াকান্দি, সুলতানগঞ্জ, মির্জাপুর প্রভৃতি।

মহাস্থান ও গোসাইবাড়ী হাটে সরেজমিনে হাজার হাজার মানুষের সমাগম দেখা গেলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।

গোসাইবাড়ীর তরিকুল ইসলাম বলেন, “ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় কলকারখানা, গার্মেন্টস, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় সেইসব লোক যমুনার পাড়ে ধুনট, সারিয়াকান্দি ও সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে চলে এসেছে।

“গোসাইবাড়ী হাটে সারিয়াকান্দি, ধুনট ওকাজিপুরের লোকজন বাজার করার জন্য ভিড় জমান।”

মহাস্থানের মাহফুজুর রহমান বলেন, “মহাস্থান হাটে বগুড়ার বিভিন্ন প্রান্তসহ পাশের গাইবান্ধা, জয়পুরহাট জেলার লোকজন কেনাবেচা করতে আসেন। এমনকি সিলেট, চট্টগ্রাম ও রাজধানী ঢাকা থেকেও পাইকাররা কাঁচামাল কিনতে আসেন।

“হাজার হাজার মানুষের সমাগমে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি বেশি থাকলেও প্রশাসনের কোন উদ্যোগ নেই।”

চাঁদপুর

চাঁদপুরে সাধারণ মানুষের মধ্যে ঘোরাঘুরি, আড্ডাসহ নানাভাবে জমায়েতের চিত্র দেখা গেছে।

চাঁদপুর শহরের কালীবাড়ি এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন মানিক মিয়া নামের এক ব্যক্তি।

তিনি বলেন, “আমি বাসাতেই অবস্থান করি; কিন্তু জরুরি ওষুধ কিনতে বাইরে এসেছি।”

আবুল কালাম নামের অপর ব্যক্তি বলেন, “শহরের ষোলঘর এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ঝামেলায় আছি। তাই থানায় পুলিশকে বিষয়টি জানাতে আমি ঘর থেকে বের হয়েছি।”

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি নাসিম উদ্দিন বলেন, “করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি।

সাধারণ লোকজনকে ঘরের মধ্যে অবস্থান করতে অনুরোধ জানাচ্ছি।”

চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান হুঁশিয়ার করে বলেন, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। কেউ অকারণে রাস্তাঘাটে বের হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গাইবান্ধা

জেলা শহরসহ ছয়টি উপজেলা শহর ও হাটবাজারে বেরিয়ে আসছে মানুষ। অনেক দোকানপাঠ খোলা রয়েছে; চায়ের দোকানে চলছে আড্ডা। হাট-বাজারগুলোতে গণজমায়েত বৃদ্ধি পেয়েছে।

বুধবার সকালে সরেজমিন দেখা গেছে, জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়কের মোড়ে মানুষের আড্ডা। চায়ের দোকানে মানুষ কাছাকাছি থেকে গল্পগুজব করছে।

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, রিকশা-ভ্যান ও মোটরসাইকেল অবাধে চলছে। এসব যানবাহনে মানুষ গাদাগাদি করে বসে যাতায়াত করছেন। এসব যানবাহনে যারা যাতায়াত করছেন, তাদের বেশিরভাগেরই মাস্ক নেই।

গাইবান্ধা শহরের ১ নম্বর ট্রাফিক মোড়, কাচারী বাজার ও সান্দারপট্টি, বড় মসজিদ মোড়, ব্রিজ রোড, ডিবি রোড, বাস-টার্মিনাল, খন্দকার মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় লোকজনের জটলা। এসব এলাকায় দোকানপাট খুলে ব্যবসা-বাণিজ্য চালানো হচ্ছে।

শহরের কাচারী বাজারের ব্যবসায়ী রুহুল আমিন বলেন, “গ্রাম-গঞ্জের মানুষ বিষয়টির কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না। ফলে আমরা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছি।”

সাদুল্লাপুর কলেজ শিক্ষক মাহমুদুল হক মিলন বলেন, “করোনাভাইরাসের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণের এই সাধারণ ছুটিতে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন শহরে কর্মরত লোকজন বাড়ি ফিরে এসেছেন। তারা কেউ মানছেন না সরকারের বাড়িতে থাকা ও সামাজিক দূরত্ব রাখার নির্দেশ।”

গাইবান্ধা সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার বলেন, “প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় পুলিশের করোনাভাইরাসের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখা হয়েছে। তারপরও মানুষ ঘর থেকে বেড়িয়ে আসছেন।

“আমাদের গাড়ি বহর দেখে হাট-বাজারের দোকান-পাঠগুলো দ্রুত বন্ধ হয়ে যায়। জনগণ দৌড় দিয়ে সটকে পড়ে। কিন্তু আমরা চলে আসার পর আবারও জমজমাট হয়ে উঠে সেই হাট-বাজার।”

গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক আবদুল মতিন জানান, মানুষ যাতে ঘর থেকে বের না হয়, সেজন্য প্রশাসনের পক্ষে মাইকিং চলছে। সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ টহল দিচ্ছে। সারা জেলায় ১৬ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে টহল চলছে। প্রয়োজনে এ টহল আরো বাড়ানো হবে।

গাজীপুর

প্রতিদিন ভোরে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় মাওনা উড়াল সেতুর নিচে কাজের সন্ধানে জমায়েত হন কয়েকশ দিনমজুর। বুধবার ভোরেও একই চিত্র দেখা গেছে।

সকালে মাওনা সেতুর নিচে কাজের সন্ধানে অপেক্ষা করছিলেন আরজিনা আক্তার (৪৫)।

তিনি জানান, প্রতিদিন তিনশ টাকায় নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করছিলেন তিনি। সকালে উড়াল সড়কের নিচে এলেই কাজ মিলে যেত। করোনাভাইরাসের কারণে গত কয়েকদিন ধরে তিনিসহ শতাধিক শ্রমিক সকাল থেকে বসে থাকলেও কাজের জন্য কেউ তাদের নিতে আসে না।

পঞ্চাশোর্ধ্ব আজিজুল হকের বলেন, “কাজ নেই তো ঘরে খাবার নেই।”

তাই সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই কাজের সন্ধানে উড়াল সেতুর নিচে জমায়েত হচ্ছে। তবে কাজ না থাকায় সবচেয়ে দুর্দিন এখন তাদের বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ সামছুল আরেফিন বলেন, “সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে। তারা তাদের নিজেদের এলাকায় বণ্টন করে থাকেন। বরাদ্দ পেতে হলে ছিন্নমূল মানুষদের তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।”

জনসমাগম করে ত্রাণ বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সিনাবহ এলাকায় বুধবার কয়েকশ কর্মহীন লোক সমাগম করে ত্রাণ ও মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। এতে সামাজিক দূরত্ব বিধি মানা হয়নি।

জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান জানান, খেটে খাওয়া, দিনমজুর, নিম্ন আয়ের মানুষরা ঘর থেকে বর হতে না পারায় কর্মহীন হয়ে পড়েন।

“এই পরিস্থিতিতে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আমি আমার ইউনিয়নবাসীদের সাধ্যমত সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছি।”

সামাজিক দূরত্বে না রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, “শুরুতে কিছুটা বিশৃংখলা থাকলেও পরে সবাইকে তিনফুট দূরত্বে রেখে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।”

কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মো. হাফিজুল আমিন বলেন, “এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা সচেতনামূলক নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। তারপরও বিচ্ছিন্নভাবে সামাজিক দূরত্বে না চলার খবর পাচ্ছি।”

কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপূত্র নদে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাপ মোচনের ধর্মীয় উৎসব ‘অষ্টমীর স্নান’ স্থানীয় উপাজেলা প্রশাসন থেকে স্থগিত করা হলেও মানছেন না সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

বুধবার ভোর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক হাজার পূণ্যার্থী ব্রহ্মপূত্র নদের বিভিন্ন পয়েন্টে ছোট ছোট দলে অষ্টমীর স্নান উৎসবে মেতে ওঠে। এ উপলক্ষে কোথাও কোথাও বসে ছোটখাট মেলাও।

এ ব্যাপারে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ বলেন, “আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশের সহায়তায় বিভিন্ন জায়গায় সমবেত হওয়া মানুষদেরকে সরিয়ে দিয়েছি। এখন বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ অবস্থান করছে।”

বাগেরহাট

গত দুইদিন সরজমিনে ঘুরে ও বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বাগেরহাটের নয় উপজেলা অধিকাংশ এলাকায় মানুষকে বিভিন্নভাবে জমায়েত হতে দেখা গেছে।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাগেরহাট শহরের মানুষ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলছে। তবে গ্রামের মানুষ দিনের বেলায় বাড়িতে থাকলেও বিকাল গড়ানোর সাথে সাথে বাড়ি থেকে বের হয়ে মোড়ে বা বাজারে যাচ্ছেন। সেখানে ভিড় করে গল্প করছেন চা পান করছেন। সামাজিক দূরত্বও মানছেন না।

“তবে এ মানুষদের মধ্যে একটা পরিবর্তন লক্ষণীয়; তাহলো ছেলে-বুড়ো সবাই মুখে মাস্ক পরে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন। আমরা এসব মানুষদের করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা বোঝাচ্ছি। তারাও বুঝছেন; কিন্তু মানছেন না।”

বাগেরহাট সদর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও সিভিল সার্জন কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, “ভারতসহ ৩৮টি দেশের চার হাজারের বেশি মানুষ সম্প্রতি বাগেরহাটে ফেরেন। ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তাদের মধ্যে আমরা এক হাজার ৫১৭ জনকে ১৪ দিনের হোম কোরেন্টিনে রাখি। এরমধ্যে এক হাজার ২১৮ জনের ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। বাকিরা হোম কোরেন্টিনে আছেন।

মাদারীপুর

মাদারীপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে কয়েজনের সুস্থ হওয়ার খবরে জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে জনসমাগম বাড়তে দেখা যাচ্ছে। শহরে দোকানপাট বন্ধ থাকলেও রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।

গত কয়েক দিনের চেয়ে বুধবার রাস্তাঘাটে বেশি মানুষের উপস্থিতি চোখে পড়েছে। কাঁচাবাজারগুলোতে লোকজনের ঠাসা।

কালকিনি উপজেলার গোপালপুর হাটে আসা হারুণ মোল্লা বলেন, “দোকানপাট কিছু কিছু খোলা থাকে। তাই হাটে এসেছি। তাছাড়া কতক্ষণ ঘরে বসে থাকা যায়। থাকতে থাকতে তো বিরক্তি চলে আসে।”

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক বলেন, “সবার সম্মিলিত সহযোগিতায় করোনাভাইরাসের ঝুঁকি থেকে মাদারীপুরকে রক্ষা করতে কাজ করে যাচ্ছি।”

শরীয়তপুর

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মঙ্গল মাঝিরঘাট থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পদ্মানদী দিয়ে যাত্রী পারাপার করছে অবৈধ কিছু সংখ্যক ট্রলার মালিক।

স্থানীয়রা বলেন, গত ২/৩ দিন যাবত রাস্তায় ছোট ছোট অনেক যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। এরা কোনো বাধা মানছে না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এরা যাত্রী পরিবহন করছে।

জাজিরা থানার ওসি আজহারুল ইসলাম বলেন, “কিছু সংখ্যক ট্রলার মালিক ফাঁকে ফাঁকে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে যাত্রী পারাপার করে। আমি তাদেরকে নিষেধ করেছি। এরপরও যদি পারাপার করে তবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা শহরের নবারুন বালিকা বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে বুধবার মীর হাবিবুর রহমান বিটুর ওএমএসের চাউল বিক্রির দোকানে ভিড় লক্ষ করা যায়।

স্থানীয় ক্রেতা মনিরা খাতুন জানান, তাড়াহুড়া করে সবাই কিনছে বলে তাকেও কিনতে হচ্ছে। এছাড়া আর গরিবের উপায় কী? এই সারিতে না গেলে তার বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মুনজিতপুরের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম এ অবস্থা দেখে বলেন, “প্রশাসন টানা পরিশ্রম করে ‘সামাজিক দূরত্ব’ বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছে। তিন ফুট দূরত্ব নির্ণয় করে দিচ্ছে। সেখানে এই ওএমএস দোকানির অব্যবস্থাপনা দুঃখজনক।”

এদিকে সকাল থেকে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, স্বাস্থ্য বিভাগ, পুলিশ, র‌্যাবসহ প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগকে ঘরে থাকা ও ‘সামাজিক দূরত্ব’ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে তৎপরতা চালাতে দেখা যায়।