বুধবার বিকালে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকূল পুটিবনিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে টেকনাফের ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন।
তবে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের কারণ নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানান ইউএনও।
স্থানীয়দেরেউদ্ধৃতি দিয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, বিকালে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকূল পুটিবনিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিম ব্লকের একটি লার্নিং সেন্টারে (শিক্ষাকেন্দ্র) আকস্মিক আগুন লেগে যায়। এতে ক্যাম্পটির এ ব্লকটিতে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান।
তিনি জানান, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারা ও রোহিঙ্গারাও আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
“ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের ঘরগুলো একটির সঙ্গে অন্যটি লাগোয়া হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় আগুন ক্যাম্পসংলগ্ন স্থানীয় চাকমা পল্লীতেও ছড়িয়ে পড়লে একটি দোকান ঘর ও দুইটি বসতবাড়ি পুড়ে যায়।”
ইউএনও আরও জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্যাম্পের চারটি লার্নিং সেন্টার ও রোহিঙ্গাদের আটটি ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
তবে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের কারণ নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি এবং এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে বলে জানান ইউএনও।
সাইফুল জানান, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং পড়ে যাওয়া স্থাপনাগুলো পুনঃনির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।